আজ শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ই ফাল্গুন ১৪৩১

সেবা প্রার্থীদের গায়ের গন্ধ ভাল লাগেনা লামা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারীতায় ক্ষুব্ধ জনতা

বেলাল আহমদ, লামা (বান্দরবান) : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০৯:৫৮:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

সেবা প্রার্থীদের গায়ের গন্ধ ভাল লাগেনা লামা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারীতায় ক্ষুব্ধ জনতা

এমনই অভিযোগ উঠেছে বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা: এখিং মার্মার বিরুদ্ধে।সূত্রে আরো জানা যায় রোগী কল্যাণ সমিতির আওতায় অসহায়, দুঃস্থ, দরিদ্র ও সহায় সম্বলহীন অসুস্থ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে প্রদত্ত ওষুধের বিলভাউচারে স্বাক্ষর দিচ্ছেন না ইউএইচএফপিও এই কর্মকর্তা।

 এতে ৯ মাসের বকেয়া বিল প্রায় ১ লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না ওষুধ সরবরাহকারী ব্যাক্তি। এছাড়াও লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা এখিং মার্মার স্বেচ্ছাচারিতায় সেবাপ্রার্থীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে রাজ পথে বিএনপি'র এক সভায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানায়, ৫ আগস্ট পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সারা দেশের ন্যায় লামা পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের পদ শূণ্য ঘোষণা করে প্রশাসক নিয়োগ দেন। লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধান কর্মকর্তা ডাঃ এখিং মার্মা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। সেবা প্রার্থী জনসাধারণ অভিযোগ করেন যে,ডাঃ এখিং মার্মা তাদের সাথে রক্ষণাত্মক আচরণ করেন। কোনো কাগজে সনাক্ত সাক্ষর নিতে গেলে তাদের গায়ের গন্ধ নিয়ে নানান অজুহাতে সেবা প্রার্থীদের সাক্ষাত ও প্রয়োজনীয় কাগজে সই না করে ফেরৎ দেন। শ্রমিক শ্রেণির দিন মজুর মানুষগুলো তাদের মজুরি ফেলে দিনের পর দিন ধর্না দিয়েও সেবা পাচ্ছেন না। পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের চার বারে নির্বাচিত (সাবেক) কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সাইফুদ্দিন নিজেই ইউএইচএফপিও এখিং মার্মার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করে বলেন,তিনি খুবই সাম্প্রদায়িক মানসিকতা সম্পন্ন একজন কর্মকর্তা। কোনো কাগজপত্রে স্বাক্ষরতো করেনই না,উপরন্তু সেবা প্রার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এছাড়া ২ ফেব্রুয়ারি লামায় বিএনপি'র এক বিক্ষোভ মিছিল থেকেও লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডাঃ এখিং মার্মাকে আওয়ামী দোসর আখ্যা দিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করে তার অপসারণের দাবী করেন।গোপন সূত্রে জানা যায় ডাঃ এখিং মার্মা বান্দরবান জেলা পরিষদের (পলাতক) সাবেক চেয়ারম্যান ক্য শৈহ্লা পুত্রের বন্ধু। লামায় যোগদানের পর ক্য শৈহ্লা পরিবারের দাপট দেখিয়েছিল কিছু দিন। ৫ আগস্ট পরবর্তীতেও তিনি অহঙ্কার ও রক্ষণশীল মনোভাব দেখিয়ে চলছে।সরকারী গাড়ি ব্যবহার করে নিজের চেম্বার ও ব্যক্তিগত কাজ করছেন তিনি।

অপরদিকে সমাজ সেবা অফিস সূত্রে জানাযায়,স্বাস্থ্যকর জীবনে উত্তরণের পথে প্রতিবন্ধকতা দূর করে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা সংরক্ষণ,উন্নয়ন এবং চিকিৎসাত্তোর পুনর্বাসনের জন্য রোগী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে হাসপাতাল ও সমাজসেবা কর্তৃক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কিন্তু যাবতীয় প্রক্রিয়া অনুস্মরণ করে বিগত ৯ মাসে  অক্ষম রোগীদের চিকিৎসা সহায়ক খরচের প্রায় এক লাখ টাকার বিল ভাউচারে সাক্ষ্যর করছেন না এই কর্মকর্তা। ফলে রোগী কল্যাণ সমিতির মনোনীত ওষুধ বিতরণকারী ফার্মেসীর মালিক কষ্টে পড়েছেনন।উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম তুলে ধরেন বক্তারা।

এ বিষয়ে লামা স্বাস্থ্য ককর্মকর্তার ডা: এখিং মার্মার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমি ছুটিতে আছি শনিবার অফিসে আসেন কথা বলবো।

 

বিষয়টি নিয়ে নবাগত লামা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: মঈন উদ্দিন জানান,আমি বিষয় টি জেনেছি দু কর্মকর্তা কে ডেকে আমি দ্রুত বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।