আজ বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

বড়দিন উপলক্ষে বান্দরবান সেনা জোনের কেক প্রদান

আল ফয়সাল বিকাশ, বান্দরবান | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৭:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়ে বান্দরবান সেনা জোনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন খ্রিস্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কেক বিতরণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগটি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্প্রীতি বৃদ্ধি এবং আন্তঃধর্মীয় সৌহার্দ্য বজায় রাখতে আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন সেনাবাহিনী।

বুধবার সকালে বান্দরবান সেনা জোনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন গির্জা ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠানে কেক বিতরণ করে খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থের বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের খুশিকে ভাগাভাগি করে নেন। এতে খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। কেক প্রদান অনুষ্ঠানে সেনা কর্মকর্তারা বড়দিনের গুরুত্ব তুলে ধরে একে শান্তি ও সম্প্রীতির উৎসব হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

 

স্থানীয় একটি গির্জার ফাদার বলেন, "বান্দরবান সেনা জোনের এই উদ্যোগ আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দদায়ক। এটি আমাদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ।"

 

বান্দরবান সেনা জোনের কর্মকর্তারা বলেন, "আমরা সব সময় দেশের প্রতিটি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্প্রীতির বন্ধন বজায় রাখতে চাই। বড়দিনের মতো উৎসব এ ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। আমরা চাই সবাই মিলেমিশে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাবে। সেনাবাহিনী সর্বদা সকল সম্প্রদায়ের ও জাতিগোষ্ঠীর সুখে দুখে পাশে ছিল এবং থাকবে। ভবিষ্যতেও যে কোন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও তাদের কষ্ট লাঘব করতে সবার আগে সেনাবাহিনী এগিয়ে আসবে।

 

এই উদ্যোগটি স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা, সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়েছে।

 

বান্দরবান সেনা জোনের এই উদ্যোগ শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

 

 

উল্লেখ্য যে, বান্দরবান সেনা জোন শুধু আজকের এই বড়দিনের অনুষ্ঠানে কেক প্রদানই নয়, বরং বান্দরবান সদর ও রোয়াংছড়ি উপজেলার অন্তর্গত সকল সম্প্রদায়ও  জাতি গোষ্ঠীর ধর্মীয় উৎসব ছাড়াও যেকোনো জাতিগত বড় অনুষ্ঠানে সর্বদা সহযোগিতা করে আসছে। বড়দিনের কেক বিতরণ তার একটি ধারাবাহিক অংশ মাত্র।