আজ শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১

গর্জনিয়া রিয়াদুস সালেহীন মডেল মাদ্রাসার ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন

মোঃ ইফসান খান, ইমন: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২:৪৭:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

২১শে ফেব্রুয়ারী উদযাপন উপলক্ষে গর্জনিয়া রিয়াদুস সালেহীন মডেল মাদ্রাসার উদ্যোগে একুশে র‌্যালী, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কক্সবাজার জেলাধীন রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের রিয়াদুস সালেহীন মডেল মাদ্রাসা কর্তৃক ২১শে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকালে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি মাদ্রাসা প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে মাঝিরকাটার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বেলতলী বাজার হয়ে আবার মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ফিরে এসে র‌্যালী সমাপ্তি হয়। র‌্যালী উত্তর মোরগ লড়াই, বস্তা দৌড়, বিস্কুট খেলা সহ বিভিন্ন ইভেন্টে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় অংশ নেন। ক্রীড়া পরিচালনা করেন অত্র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ। ক্রীড়া শেষে মাদ্রাসার হলরুমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি, হামদ-নাত সহ দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হয়। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি শেষে ২১শে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য, গুরুত্ব ও ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা ভাষার মর্যাদা ও ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য রাখেন অত্র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা ফরিদুল আলম, সহকারী শিক্ষক  রফিকুল ইসলাম সাঈদী, সহকারী শিক্ষক নওশাদুল ইসলাম মায়মুন ও সহকারী শিক্ষক  নুরুল আমিন। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অত্র মাদ্রাসার পরিচালক  মুজিবুর রহমান লিটন। প্রধান অতিথি  বক্তব্যে বলেন, আমরা বাংলা ভাষাকে কঠিন সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছি, তাই মাতৃভাষার সমৃদ্ধির জন্য মাতৃভাষার চর্চা ও গবেষনা বৃদ্ধি করা দরকার। তিনি আরও বলেন তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ভাষাকে উপেক্ষা করে উর্দুকেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করে। এই সিদ্বান্তের প্রতিবাদে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষী জনতা সারাদেশে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় ২১ শে ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ সাল, ৮ই ফাল্গুন ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ, ছাত্র জনতা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভে রাজপথ প্রকম্পিত করে প্রতিবাদ জানালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী প্রতিবাদী মিছিলে গুলিবর্ষণ করে এতে রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম, বরকত গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। সেকারণেই এই দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষনা করে। সেই থেকেই বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পৃথিবী ব্যাপী জাতিসংঘ সদস্যভূক্ত দেশগুলো পালন করে আসছে। পরিশেষে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া কামনা করে আলোচনা সভা সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। আলোচনা সভা শেষে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম সাঈদী।