আজ বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ই পৌষ ১৪৩১

ই-জিপির সাফল্য বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে: পরিকল্পনা সচিব

এইচ এম সম্রাট, বান্দরবান: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:২৪:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

সরকারি ক্রয়ে চুক্তি ব্যবস্থাপনাও এখন ই-জিপির মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। বাংলাদেশে ই-জিপির অগ্রগতি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ পর্যন্ত ১১টি দেশ এবং ৫টি আন্তর্জাতিক ও বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধি ই-জিপি সিস্টেমের সফলতা সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) পরিদর্শন করেছেন। ই-জিপি সিস্টেম ৪টি আন্তর্জাতিক আইএসও সনদও পেয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে বিপিপিএ’র কার্যাবলী এবং ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন, পৌর প্রশাসক এস এম মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু তালেবসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার প্রতিনিধি, দরপত্রদাতা এবং সাংবাদিকগণ।

এ সময় তিনি আরও বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনার আওতায় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে জনগণের অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সর্বাধিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ওপর জোর দিতে হবে। বর্তমানে দেশে সরকারি ক্রয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ ই-জিপির মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। ই-জিপি চালুর ফলে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের গড় সময় ৮৭.৭ দিন থেকে ৫৭ দিনে নেমে এসেছে। শতভাগ দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি ও চুক্তি সম্পাদন নোটিশ ই-জিপি সিস্টেমে প্রকাশ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ই-জিপি সিস্টেম ব্যবহারে প্রতি বছর দেশের ৬০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে। এছাড়া ১০৫ কোটি ৩০ লাখ পাতা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে এবং ১.৫৪ লাখ টন কার্বন নিঃসরণ কমিয়েছে।