বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের মৃত হাজী আবদু জলিলের পুত্র মাহাবুবর রহমানের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়তি ও দীর্ঘ ৩০বছরের ভোগ দখলীয় জমি জোর পূর্বক দখল চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে যৌথ সংবাদ সম্মেলন ০৩জুন(সোমবার)বিকাল ৫ ঘটিকায় ভোক্তভোগির বসতবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে মো,আক্তার হোছেন জানান, হাজী আবদু জলিলের পুত্র মাহাবুবর রহমানের ৩০৬ নং ফাইতং মৌজার ২৮ নং খতিয়ানে ২ একর ৮০শতক জমি রয়েছে। উক্ত খতিয়ানের সম্পূর্ণ জমি একই এলাকার আহমদ হোছন এর পুত্র মাশুক আহমদ ও ছালামত আলীর পুত্র সামশুল আলমের নিকট বিক্রি করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। উভয়ের সিদ্ধান্ত মতে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ ও করা হয়। উক্ত সিদ্ধান্ত মতে গত ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর তারিখে ৩লাখ ৫ হাজার টাকা নগদ প্রদান করে রেজিঃ বায়নানামা সম্পাদন করা হয়। যার দলিল নং ৬১৫/১৯৯৪। বাকী ১০হাজার টাকা বুঝিয়ে পাওয়ার পর রেজিঃ সম্পাদন করবে বলে উল্লেখ করা হয় এবং জমি দখলও বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মাহাবুবর রহমান প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে উক্ত রেজিঃ আজ দেবে কাল দেবে বলে বছরের পর বছর কালক্ষেপণ করে আসছেন। এ অবস্থায় গোপনে ২০০৯ সালের ৫ মে মাহাবুবর রহমান তার স্ত্রী শাহানারা বেগম, পুত্র মৌঃ রিয়াজ উদ্দীন ও মোহাং হোচন এর পুত্র আহামদ উল্লাহর নিকট একই খতিয়ান থেকে ২একর ৩০ শতক জমি রেজিঃ বায়নানামা সম্পাদন করেন। যার দলিল নং
৩৪৬/২০০৯। অপর দিকে একই এলাকার মৃত হাজী ইসলামের পুত্র হাফেজ মোঃ জাহিদুলের কাছে উক্ত খতিয়ান থেকে গত ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই ২০ শতক জমি রেজিঃ বায়নানামা সম্পাদন করেন। যার দলিল নই ৪৩১/২০১৮, ২০২২ সালে শহিদুল্লাহ মিন্টুর নামে ৩৯শত জায়গা রেজিঃ বায়না করেন যাহার দলিল নং১৩৪৩১৪/২২, জাহেদুল ইসলামের নামে ২০২২ সালে ৫৪ শতক জমি বায়না দেন যাহার দলিল নং৩১৮৬/২২, আবুল কাশেম নামে ৬শতক জমি বায়না দেন যাহার দলিল নং ৩১৩/২২, অপরদিকে জাফর আলম কৌশানিীর নামে ২.১০, দুই একর ১০ শতক জায়গা বায়না করেন যাহার দলিল নং ডি ৬২৭/২২। এইভাবে দাতা মাহাবুবর রহমান প্রতারণার সংবাদ পেয়ে গ্রহীতা মাশুক আহমদ ও সামশুল আলম গং লামা উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মাহাবুবর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- সিআর ২২৪/২২ইং।
জমি দাতা মাহাবুবর রহমান এইভাবে বছরের পর বছর রেজিঃ না দেয়ায় জমি গ্রহীতা মাশুক আহমদ ও সামশুল আলম গং অবশেষে মারা যান। মাহাবুবর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও ভোক্তভোগি পরিবারের নিরাপত্তা জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের ছেলে মেয়েরা।
ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান মো.ওমর ফারুক জানান,মাহাবুবর রহমানের ৩০৬ নং ফাইতং মৌজার ২৮ নং খতিয়ানে ২ একর ৮০শতক জমি রয়েছে।তিনি এই জমি একাধিক ব্যক্তির নিকট বিক্রি করেছে যা নিয়ে বান্দরবান জজকোর্টে মামলা চলমান।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আরো ক্রেতা মো. ফোরকান উদ্দিন ও মাহামুদুর করিম। সাংবাদিক সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।