একটি মৃত বাছুর প্রসব করেছে একটি গাভী। এমন আকৃতির বাছুরটি দেখতে আশপাশের মানুষ ভিড় করছেন গরুর মালিকের বাড়িতে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা ওয়ার্ডের রহমতপুর গ্রামের খামারী গোলাম হোসেন এর গোয়ালে বাছুরটির প্রসব হয়। তবে গাভীটি সুস্থ রয়েছে বলে জানান খামারী।
খামারী গোলাম হোসেন জানান, স্থানীয় করিম ও মোচন ত্রিপুরার সহযোগিতায় আড়াই ঘন্টার চেষ্টার পর গাভীর প্রসব করানো হয়। এসময় মৃত অবস্থায় প্রসব হওয়া বাছুরটির মাথা দুটি, মুখও দুটি, আর চোখ চারটি ও আটটি পা ছিলো। গরুর এমন বাছুর জন্মাতে পারে, তা স্বপ্নেও ভাবিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এটি বিরল ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো দেখেননি তাঁরা। এরকম বিরল বাছুর নিয়ে চলছে নানা জল্পনাকল্পনা।
এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের এআইএসপি কাওছার মাহমুদ ফয়সাল জানান, ‘এটা একটা জন্মগত সমস্যা; যা কনজেনিটাল অ্যাবনরমালিস এবং টেরাটোজেনিক ইফেক্টের কারণে হয়ে থাকে। এতে সাত মাসে গাভির গর্ভপাত হয়। আবার কিছু ভাইরাস যেমন বাভাইন ভাইরাল ডায়রিয়া বা ব্লুটাং ভাইরাস গরুর গর্ভের বাচ্চার বিকৃতির জন্য দায়ী হতে পারে। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে ভেটেরিনারি ডাক্তারকে দেখানো উচিত যাতে সমস্যার সঠিক কারণ নির্ণয় করা যায় এবং পরবর্তী গর্ভাবস্থায় এ ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব হয়।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ বলেন, জিনগত কারণে দুইটি মাথা, ৮টি পা বিশিষ্ট বাছুরটি মৃত অবস্থায় প্রসব হয়। এটি অনেক সময় মানুষের মধ্যেও হয়।