বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে রুমা সাধারণ বম জনগোষ্ঠী।
আজ (বুধবার) সকালে রুমা বাজার হরি মন্দিরের নিচে রুমা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বসবাসরত বম জনগোষ্ঠীর শিশু, কিশোর-কিশোরী, নারী- পুরুষ, বৃদ্ধ, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ একত্রিত হয়ে মানববন্ধন করেছে।
বেথেল পাড়ার সাবেক মেম্বার লাললুংথাং বম, ধর্মীয় যাজক রেভা. পেকনিয়ান বম, সচেতন নারী সমাজের প্রতিনিধি জিংঠুয়াই বম, শিক্ষার্থী এসথার বম মানববন্ধনে কেএনএফের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখে অবিলম্বে কেএনএফ ও কেএনএ সশস্ত্র সংগঠন কার্যক্রমকে বন্ধ করে এবং সরকারের লুট করা অস্ত্র সমূহ ফেরত দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহবান জানানো হয়।
তারা আরো বলেন, কেএনএফের কারণে সাধারণ বম জনগোষ্ঠী নানা ভাবে হয়রানি ও দুভোর্গের শিকার হচ্ছে বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে বম জনগোষ্ঠীকে দুর্বিসহ জীবন থেকে মুক্তি দিতে কেএনএফকে আহ্বান জানান।
সকালে রুমা বাজারে বম জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ বিভিন্ন লেখা বা দাবি সংবলিত প্লেকার্ড, ব্যানার, ফ্যাস্টুন হাতে গ্রীস্মের তীব্র তাপ উপেক্ষা করে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে। “আমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে চাই, বাঁচতে চাই”, “কেএনএফ নিপাত যাক”, “গ্রেফতারের ভয়ে জঙ্গলে পালিয়ে থাকা সাধারণ জনগণকে নিরাপদে ফিরে আসার সুযোগ দিন”, “নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুন” ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে তারা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বিগতে এপ্রিল মাসে রুমা এবং থানছির সোনালী এবং কৃষি ব্যাংকের ৩টি শাখায় হামলা চালিয়ে ব্যাংকের টাকা লুটপাট, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ এবং ব্যাংকের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে কেএনএফ। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী, অভিযানের সময় যুদ্ধে নিহত হয় কয়েকজন সশস্ত্র কেএনএফ সদস্য, উদ্ধার করা হয় অস্ত্র,তবে লুট করা অস্ত্র এখনও উদ্ধার করা যায়নি। অভিযানের অংশ হিসেবে অত্র এলাকায় জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয় এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ের উপর সীমিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।