রামুর ঐতিহ্যবাহী গর্জনিয়া বাজারে প্রবেশের একমাত্র ব্রীজের পাটাতন ছিদ্র হয়ে দুর্ঘটনা বেড়েছে বছরের পর বছর ধরে।
সেতুটির পুর্বাংশের বেশ কয়েকটি স্টিলের পাটাতন নড়বড়ে। কয়েকটি পাটাতন ভেঙে গিয়ে নিচের দিকে দেবে গেছে। দেবে যাওয়া অংশে জং ধরেছে। ১ বছরে পথচারীর পা ঢুকে আহত হয়েছে ১২০ জন। গবাদিপ্রানী আহত হয় অগণিত । ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে এর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। ভাঙ্গা অংশে চাকা ঢুকে আটকে গিয়ে ঘন্টার পার ঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এই দুরবস্থা রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৪ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র সড়ক ককসবাজারের রামু- বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনিয়া বাজার সড়কের জামছড়ি খালের উপর ওপর নির্মিত বেইলি সেতুর। স্থানীয় লোকজন জানান, দীর্ঘদিন পযর্ন্ত সংস্কার না হওয়ায় সেতুটির করুণ অবস্থা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলাদ্বয়ের পূর্বাংশের ৩ হাট-বাজার ও সীমান্তের যাবতীয় কর্মকান্ডের জন্যে সেতুটির গুরুত্ব অত্যাধিক। কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া ও ব্যবসার প্রয়োজনে অসংখ্য মানুষ সেতুটি দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু সেতুটি সংস্কার বা পুনর্নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না এখনও।
এলজিইডির পক্ষ থেকে সেতুটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয় নি এমন দুরবস্থা পতিত হওয়ার পরও। অথচ তারা এ সেতু দিয়ে নিয়মিত আসা-যাওয়া করে থাকেন।
এ ছাড়া জেলা- উপজেলা প্রশাসনও। অথচ ব্যবসাসহ নানা প্রয়োজনে মালবাহী ট্রাক এর ওপর দিয়ে চলাচল করছে এ সড়ক দিয়ে। মূলত ককসবাজার ও বান্দরবানের দক্ষিণ পুর্বাংশের সীমান্তবাসীর একমাত্র বড় সাপ্তাহিক হাট-বাজার এ গর্জনিয়া বাজার। যেখানে হাটের দিন অন্তত ২০ হাজার মানুষ ক্রয়-বিক্রয় করতে আসে। যাদের বড় একটি অংশ এ বেইলি ব্রীজটি ব্যবহার করে।
বাজারের ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন, নবী আলম ও শামশুল আলম সহ অনেকে জানান,এ ব্রীজের ভাঙা অংশে পা পড়ে গত এক বছরে ১২০ পথচারী আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পা পড়ে আহত হয়ে রামু বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারী আনোয়ার হোসেন ও গর্জরিয়া বাজার ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দিন।
আনোয়ার হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান,শুক্রবার সন্ধ্যায় সে অফিসের নির্দেশে বিদ্যুতের কাজ সেরে আসার পথে এ ব্রীজের ভাঙ্গা পাটাতনে পা ঢুকে পড়ে। বের করতে ১ ঘন্টা সময় লাগে। এখন সে
বিনা চিকিৎসায় বাড়ির বিছানা ছটফট করছে।
শনিবার সন্ধ্যায় পা ফসকে পাটাতনে ঢুকে
ব্যবসায়ী বুরহান উদ্দিনের। সে ও চিকিৎসাধীন।
এভাবে গত ১ বছরে ১২০ জন পথচারী,অনেক গবাদিপশু ও অসংখ্য গাড়ির চাকা ঢুকে পড়ায় অপর যাত্রিরা এ সড়কে চলাচল করতে আতংক বোধ করছে।
রামু উপজেলা প্রকৌশলী মন্জুর হাসান চৌধুরী বলেন,মূলত ব্রীজটি সংস্কারের কোন বরাদ্দ এই মূহুর্তে আমাদের নেই।
তবে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের পরিচালক তাকে জানিয়েছেন, বাজার প্রশস্তকরণের কাজ শেষে এ ব্রীজের কাজ করা হবে। এর আগে আর কোন সংস্কার করার পরিকল্পনা তাদের নেই।