আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নাইক্ষ‍্যংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বিভিন্ন টাউনশীপ থেকে পালিয়ে আসা অসংখ্য রোহিঙ্গা আশ্রয়ের চেষ্টায়

মোঃ ইফসান খান ইমন, নাইক্ষ‍্যংছড়ি: | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৫ মে ২০২৪ ০৮:১৫:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যের বুথিদং টাউনশীপ ও আশপাশের কয়েকটি শহর থেকে  হাজার হাজার  রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তের অদূরে কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান করছে। যা সীমান্ত পিলার  ২০,২১,২২, ৪৭,৪৮,৪৯ ও ৫২  নম্বরের  বিপরীতে  মিয়ানমার ভিতরে

আমতলী, ছেংছড়ি, টাইক্কম ও রাইবুনিয়াসহ অন্তত ১০ টি  এলাকায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা এবং উপজাতি সম্প্রদায় লোক অবস্থা করছে বলে সূত্রে জানা গেছে। গত ১৫ দিন ধরে তারা মন্ডু ও বুচিডং টাউনশীপ সহ রোহিঙ্গারা এক কাপড়ে জীবনবাজি রেখে নিরাপদ স্হানের খোঁজে মংডুর উদ্দেশ্য চলে আসতেছেন বলে প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায় । মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে চলে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানা যায়। যে কোন সময় নাফ নদী ও স্হল পথে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ এর সম্ভবনা রয়েছে এদিকে অপর একাধিক সূত্র জানান,সীমান্তের ওপারে ব্যাপক সংঘর্ষ জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে রোহিঙ্গাদের গ্রাম

নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার করেছে বলেও জানা গেছে।

সূত্র আরো জানান,

সীমান্ত দিয়ে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় বান্দরবান সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বিজিবি। বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তের প্রায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গায় সীমান্ত চৌকি ও স্থাপনাগুলোতে বিজিবির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া বাড়ানো হয়েছে সীমান্ত এলাকায় টহল ও নজরদারি। সীমান্ত এলাকায় বসানো সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি সীমান্ত থেকে শুরু করে তুমব্রু ঘুনধুম হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত পর্যন্ত এসব এলাকায় বিজিবির পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

সূত্র মতে,সীমান্ত পিলার ৪৭,৪৮ ও ৪৯ নম্বরের  মধ্যবর্তী  মিয়ানমার ভিতরে

আমতলী, ছেংছড়ি, টাইক্কম ও রাইবুনিয়া এলাকায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা এবং উপজাতি সম্প্রদায় লোক অবস্থা করছে। 

এছাড়া রাখাইন রাজ্যে বুথিডং  টাউনশিপে  মিয়ানমার বিদ্রোহী বাহিনী এবং মিয়ানমার সামরিক বাহিনী কাউন্সিলদের মধ্যে সংঘর্ষ চলার কারণে বিভিন্ন জাতির সদস্যরা জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। যা আশংকা  করা যাচ্ছে যে কোন সময় বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করতে পারে। অপর আরেকটি  সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাত গত কয়েক দিনে ব্যাপক রূপ নেয়ায় সীমান্তে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য। এমন খবর আসার পর বর্ডার গার্ড বিজিবি নিষ্টার সঙ্গে কঠোর ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে চলছে। সীমান্তের ওপারে রাখাইনের মংডু ও বুচিডংসহ কয়েকটি উপশহরে গত কয়েক দিন থেকে সে দেশের সেনাবাহিনীর সাথে বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে রোহিঙ্গাদের বেশ কয়েকটি গ্রাম।

আরো জানা গেছে, বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করছে আরাকান আর্মি। অন্যদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ব্যাপক বোমা হামলায় আতঙ্কে রোহিঙ্গারা নিরাপদ জায়গায় সরে গেছে।এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তে নজরদারি ও নিরাপত্তা আগের চেয়ে দ্বিগুণ জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশের  বুথিডং টাউনশীপ এলাকায় বিদ্রোহী গ্রুপ AA রোহিঙ্গাদের পাড়া গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশের বুথিডং টাউনশীপে  শত শত বছর পূর্বে থেকে  বসবাস করে আসছেন  রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ইতিহাস স্বাক্ষী  বহন করে । মায়ানমার সরকার ও বিদ্রোহী গ্রুপ AA এর মাঝে দীর্ঘদিন যাবত চলমান যুদ্ধে একদিকে সরকার রোহিঙ্গাদের কে এবং অন্যদিকে বিদ্রোহী গ্রুপ AA ডাল হিসাবে ব্যবহার করে সরকার ও AA সুপরিকল্পিত ভাবে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে আসছেন সুত্রে জানা যায় । বিদ্রোহী গ্রুপ AA বুথিডং টাউনশীপ দখলে নেওয়ার লক্ষ্যে সেনাদের সাথে চলমান যুদ্ধে গত ১৮ মে ২০২৪ তারিখ  বিদ্রোহী গ্রুপ AA বুথিডং টাউনশীপ সম্পুর্ন দখলে নিয়ে সেনাদের কে বিতাড়িত করেছেন জানা যায় । বিদ্রোহী গ্রুপ AA  নিজ ইউনিট হতে পালিয়ে যাওয়া সেনা সদস্যদের কে আটক অভিযান অব্যাহত রেখেছেন বলে ও  সুত্রে জানা যায় । বিদ্রোহী গ্রুপ AA পূর্ব পরিকল্পিত ধর্মীয় চেতনায় যুদ্ধের বাহনা কে কাজে লাগিয়ে বুথিডং এলাকায় বসবাসরত সমস্ত রোহিঙ্গাদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গাদের কে ঘরবাড়ি ছাড়া করে দেশ ত্যাগের বাধ্য করছে বলে জানা গেছে। বিদ্রোহী গ্রুপ AA বুথিডং এলাকায় হাজারের অধিক ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে বলে জানা যায়।গোপন সুত্রে জানা যায় বুথিডং ও মংডুতে বসবাসরত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের স্হানীয় দালাল  ও বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টায় রয়েছেন বলে জানা যায়।