বাংলাদেশ-মিয়ানমারের স্থল সীমান্ত যেন এখন ইয়াবার জোন। ৭০ কিলোমিটার সীমান্ত পয়েন্টে অন্তত ১৫ টি পয়েন্ট এখন চোরাকারবারীদের পদচারণায় মূখর। আর এ অবস্থায় ৩৪ বিজিবি
এক অভিযানে ২ লাখ ইয়াবা টেবলেট জব্দ করে এ সীমান্তের ঘুমধুম পযেন্ট দিয়ে। এ সময় এক ইয়াবা কারবারীকেও আটক করে তারা।
শুক্রবার (৩১ মে) রাত ৯ দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩৪ বিজিবি’র ঘুমঘুম বিওপি’র বিশেষ টহল দলের জোয়ানরা উখিয়ার ঘাট কাস্টমস স্টেশনের কালভার্টের ভিতর থেকে এসব ইয়াবা জব্দ করেন তাদের ধারাবাহিক অভিযানে। এসময় ইয়াবা পাচারে জড়িত মো. জিয়াবুল আলম নামের এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেন টহল দলটি।
আটক যুবক হলেন- জিয়াবুল আলম উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১০’র জমির হোসেনের ছেলে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারি’কে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে:কর্ণেল আবদুল্লাহ আল মাশরুাকি এদিকে তুমব্রু,সোনাইছড়ি,চাকঢালা,ফুলতলী ও দোছড়ি ইউনিয়নের সচেতন একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন,নাইক্ষ্যংছড়ির স্থল সীমান্তের অন্তত : ১৫ টি পয়েন্ট দিয়ে চোরাকারবার হচ্ছে। পয়েন্ট গুলো হল,
৫২ পিলার পয়েন্ট,৫১ পিলার পয়েন্ট,৫০ পিলার পয়েন্ট,বলের মাঠ পয়েন্ট,চেলির টাল পয়েন্টে,জামছড়ি,আমতলী,
নিকুছড়ি,বাইশফাঁড়ি,হেডম্যান পাড়া,
কোনারপাড়া,তুমব্রু উত্তরপাড়া,তুমব্রু পশ্চিম পাড়া,জলপাইতলীসহ ১৫ পয়েন্ট দিয়ে আসছে চোরাইপণ্য। আর যাচ্ছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পণ্য।
বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা,গরু-মহিষ,খ্রিষ্টাল মেথ,স্বর্ণ,সিগারেট,মিক্সকপিসহ ৩০ প্রকার পণ্য। তাদের অভিযোগ গরুর সাথে ইয়াবা আসে কন্ট্রাকে। ইয়াবা না আনলে গরু-মহিষ দেয় না মিয়ানমারের কারবারীরা।
অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে,ভোজ্য ও জ্বালানী তেল,ঔষধ,শুটকি মাছ,কোমলপানীয়,কাচাঁমাছ,চোলাইমদ,
চাল-ডাল,বিস্কুট, ডিম, মোবাইলপণ্য ও কাচাঁমরিচসহ সবধরণের তরিতরকারী ।
যার কারণে সীমান্তের সব বাজার গুলোতে এসব পণের সংকট যায় মাঝেমধ্যে।
তাদের দাবী,অতিসত্তর এসব পাচার প্রক্রিয়া বন্ধ করা হোক। নচেৎ চালের কারণে এখানে খাদ্য সংকট দেখা দিবে।