নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার' সীমান্ত এলাকার ফুলতলী ৯ নং ওয়ার্ড এলাকায় সোমবার গভীর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের সময় ৪৭ নং সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের সামান্য ভিতর থেকে গোলাগুলির বেশ কয়েকটি আওয়াজ ফুলতলী এলাকায় শুনতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন, সীমান্তের কাছে বসবাস কারি,আমাম্মদ,মোঃ নুর হোসেন সহ আরো কয়েকজন মানুষ।
জানা গেছে ঐ সীমান্ত এলাকার মিয়ানমারের অল্প ভিতরে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটের সময় বাংলাদেশী নাগরিক তরিক উদ্দিন (১৭) অবৈধভাবে চোরাচালান কার্যক্রম করতে গেলে মাইন বিস্ফোরণে বাম পায়ের নিছের অংশ উড়ে যায়,বর্তমানে মুমূর্ষ অবস্থায় কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে সুত্রে জানা গেছে।উল্লেখ্য, নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমামারের ৪৭/৪৮ নং সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে,বাংলাদেশ থেকে প্রায় সব ধরনের মালামাল মিয়ানমারে পাচার করছে স্থানীয় চোরাকারবারিরা। সময় সুযোগ বুঝে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে বাংলাদেশের ভিতরে নিয়ে আসছে অবৈধ গরু,মহিষ,চাগল,সুপারি'সহ নেশা জাতীয় দ্রব্য।উক্ত চোরাই তৎপরতা সম্পন্ন করার সময় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি কর্তৃক পুতে রাখা ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশী নাগরিকদের মৃত এবং অঙ্গহানির মত ঘটনা ঘটেই চলছে।এই চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্ত জুড়ে বিজিবি সদস্যরা দিনরাত সমানভাবে কাজ করে গেলেও গহীন অরণ্যের ফাঁক ফোকর দিয়ে চোরাকারবারিরা তাদের চোরাই তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।