নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শ্ববর্তী রামুর উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের মরিচ্যাচর মালাকাটা ঘোনায় বিজিবি-চোরাকারবারীর মধ্যে গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নেজাম নামে এক চিহ্নিত চোরাকারবারি নিহত হয়েছে । ঐ চোরাকারবারিরা
বিজববির উপর হামলার পর বিজিবির ৪ মোটরবাইক পুড়িয়ে দিয়েছে স্বশস্ত্র চোরাকারবারী সদস্যরা, প্রায় ৬০ রাউন্ড গুলি এবং ৪টি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে বিজিবি সদস্যদের উপর। পরে বিজিবি জব্দ করে ২০ হাজার ইয়াবা ও কোটি টাকা টাকার মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে আনা কোটি টাকার সিগারেট।ঘটনাটি ঘঠেছে ৩ জুন,সোমবার ভোর ৫ টার সময়। এ সময় বেশ কয়েক'রাউন্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল সাহল আহমদ নোবেল। এ সময় তিনি তিনি জানান,চোরাকারবারীরা এ পথ দিয়ে ইয়াবা পাচার করছে মর্মে খবর পেয়ে অভিযানে নামে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির একটি দল। পরে উদ্ধার হয় সিগরেট ও ইয়াবা।
এর আগে অভিযানে ছিলেন মেজর আশিক ও রাফি।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার আবুল কাশেম জানান,এ ঘটনাটি তার ওয়ার্ডেই ঘটেছে। তবে ভোর ৫ টার পর। তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন। চোরাকারবারীরা মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বিদেশী সিগারেট পাচারকালে বিজিবি অভিযান শুরু করলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় জব্দ হয় ৮০ লক্ষাধিক টাকার সিগারেট।চোরাকারবারীদের ভাড়াটে শ্রমিকদের দেয়া আগুনে বিজিবির ৪ মোটর বাইক আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
স্থানীয় আরো অনেকে জানান,
মূলত নিহত নেজাম স্থানীয় চোরাকারবারিদের আস্থাভাজন একজন দুর্ধর্ষ ব্যক্তি তার কাছে সবসময় অবৈধ অস্ত্র থাকত ।
জানা যায় কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের কয়েকজন বড় গড়ফাদারের মাধ্যমে ইয়াবা,সিগারেট স্বর্ণের বার,গরু এবং মহিষ গভীর রাতে অতিরিক্ত পারিশ্রমিকের বিনিময় শ্রমিককেদের মাধ্যমে সশস্ত্র পাহারা দিয়ে দুর্গম পথ দিয়ে পাচার করে দিয় পাশ্ববর্তী উপজেলাতে।
এলাকার অনেকেই চোরাচালানে জড়িতদের নাম নিতে তারা ভয় পায়। যদিও সেই ৩ সীমান্ত চোরাকারবারী গড়ফাদার নাম সাংবাদিকদের বলেছেন পত্রিকায় তাদের রেফারেন্সে না দেওয়ার শর্তে।
বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা ও গর্জনিয়া এলাকায় সন্ত্রাসী আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বিজিবি জানান পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। উল্লেখ্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে চলতি সময়ে যত চোরাচালান হচ্ছে তার সব চেয়ে শক্তিশালী এবং বড় সিন্ডিকেট রয়েছে কচ্ছপিয়ার ইউনিয়নের মধ্যে, জনশ্রুতি রয়েছে ঐ সিন্ডিকেটের দুই জনকে মাঝে মধ্যেই মিয়ানমার অভ্যন্তরে দেখা যায় লেনদেন করতে।