বান্দরবানের রুমা উপজেলা ৪নং গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের বর্তমানে চেয়ারম্যান মেনরত ম্রো ও উদ্যোক্তা সিংরাও ম্রো এর অবহেলিত থাকার কারণে অফিস বাইরে সাইনবোর্ডও মাটির তলার সাথে মিশে অকেজো ভাবে পরে আছে। এ সাইনবোর্ডটি প্রায় ২-৩মাস ধরে মাটির তলায় পড়ে আছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছে। ঐ অভিযোগে সূত্র ধরে রুমার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা আজ রোববার (৩০জুন) বিকেলে সরেজমিনে গেলে বাস্তবতা দেখা মিলে।
অভিযোগ আছে, গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের উদ্যোক্তা সিংরাও এর বিরুদ্ধে, অফিস চলাকালীন সময়ে চেয়ারে বসে ধূনপান করে প্রতিনিয়ত । আরো জানা গেছে, প্রতিবারে টিআর,কারিটা ও কাবিখা প্রকল্পের বরাদ্দ আসলেও উদ্যোক্তা চেয়ারম্যান এর সাথে জোগসাজে প্রতিবারে একটি করে হাতিয়ে নেয় প্রকল্প, তবে মাঝে মাঝে মেম্বারদের নামে ও নিজের নামে প্রকল্পগুলোতে ইস্যু করে থাকেন সে ব্যক্তি।
এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করতে চেয়ারম্যান মেনরত ম্রো এর সাথে সাক্ষাৎকার করা হলে তিনি জানান, ঐ উদ্যোক্তা সিংরাও ম্রো আমার কোন কথা মূল্যায়ন করে না, তাই কিছু কিছু সমস্যা থেকেই যায়। আরো জানান, প্রকল্প হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন কোনো সময় তার নামে কাগজে কলমে দেখা মিলেনি। তবে শুনেছি প্রকল্পের সভাপতি মেম্বারদের নাম দিয়ে উদ্যোক্তা নিজেই নয়-ছয় করে অর্থ লেনদেন করে হাতিয়ে নেয়।
দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকার রুমার প্রতিনিধি এর কাছে ডকুমেন্ট আছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) বরাদ্দকৃত লাম্বা পাড়া বিবিটিবিসি চার্চের জন্য আসবাবপত্র ক্রয় বরাদ্দকৃত ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা প্রকল্পটির সভাপতি সিংরাও ম্রো নামে। এ বিষয়টি সত্যতা জানতে অফিসে গেলে, তিনি সাংবাকিদের বলেন আমি এ প্রকল্পটির কাজ পেয়েছি একমাত্র কারণ হলে ঐ বিবিটিবিসি চার্চের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলে পেয়েছিলাম।
এ বিষয়ে রুমা উপজেলার দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রানালয়ের কার্য-সহকারী জিপঙ্কর চাকমা এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, এ প্রকল্প দেওয়ার পিছনে এটাই কারণ যেহেতু রিমোভ এলাকা আর একটা বিষয় হলো তিনি ঐ চার্চের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন তাই সে হিসেবে তাকে প্রকল্প দেওয়া।