টানা ৫ দিনের ভারী বষর্ণের ফলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৮০ কিলোমিটার সড়ক লন্ড-ভন্ড হয়ে গেছে।
ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে পাহাড়ি ঢলে। শুক্র ও শনিবার দু'দিন ধরে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক-উপসড়ক সরেজমিন ঘুরে এ সব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে ৩ আগষ্ট বিকেল পর্যন্ত টানা ৫ দিন
ভারী বর্ষণ হয় মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ও পাহাড়ি উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়িতে। এ সময় এ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়,পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে শতাধিক স্থানে। বিশেষ করে উপজেলার সবক'টি সড়ক ও উপ-সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে ও ধসে গেছে। এমন কী অনেক স্থানে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ভেসে গেছে।
আবার অনেক স্থানে পাহাড় ভেঙ্গে গিয়ে রাস্তার এসে গিয়ে সড়কে পাহাড়ি মাটির স্তুপ হয়ে যায়। ফলে এসব স্থানে সড়ক যোগাযোগ বিঘ্ন ঘটে জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে৷ বিচ্ছিন্ন হয় অনেক সড়ক। স্থানীয়রা জানান,সড়ক গুলো অতি দ্রুত সংস্কার ও নির্মান করতে হবে। কেননা পাহাড়ে বিকল্প পথ থাকে না।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন,টানা এ বৃষ্টিতে
তার ইউনিয়নের ছোট-বড় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গেছে। ভেঙ্গে গেছে প্রতিটি রাস্তা।
আর পাহাড় ধসের ঘটনা অনেক। সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবসার ইমন বলেন, তার ইউনিয়নে সব রাস্তা-ঘাট পাহাড়ি ঢালুর বেয়ে গেছে। এ কারণে ৫ দিনের টানা ভারী বর্ষণে সব গুলো রাস্তায় ফাটল ধরেছে। অনেক সড়ক উপ সড়কে ভেঙ্গে গেছে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পাহাড় ও টিলা ভেঙ্গে রাস্তায় এসে পড়ায় যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে অনেক স্থানে। যাতে জন দুর্ভোগ বেড়েছে।
এভাবে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের অপর ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে দোছড়ি চেয়ারম্যার আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইমরান,
বাইশারীর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী ও সোনাইছড়ির চেয়ারম্যান এ্যানিং মার্মা তার ইউনিয়নের লন্ড-ভন্ড হয়ে পড়া সড়ক ও উপ-সড়কের কথা ব্যক্ত করেন এ প্রতিবেদকের কাছে।
এ বিষয় টানা বর্ষণের ফলে ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপন করা নাইক্ষ্যংছড়ি স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশল অফিসের কার্যসহকারী হাসিবুল হাসান বলেন,
তাদের অধিনের অধিকাংশ সড়কের করুণ দশা। তিনি এভাবে অনাবৃষ্টি ও ভারীতে পাহাড় ধস এই প্রথম দেখলেন।
তার হিসেব মতে যে সব সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা হলো বাইশারী-দোছড়ি সড়ক, কুরিক্ষ্যং সড়ক,পাইনছড়ি সড়ক,তুমব্রু-ঘুমধুম সড়ক,ঘুমধুম টিভি টাউয়ার-তুমব্রু সড়ক,বাইশারী-আলিক্ষ্যং সড়ক ও সদর ইউনিয়নের অধিকাংশ সড়কের
ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, ৫ দিনের টানা ভারী বর্ষণে
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অন্তত ৮০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছেন তিনি।
তার মতে, এ সড়ক -উপসড়ক গুলো দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জনদুর্ভোগ বাড়বে।