কুকি চিং ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে বান্দরবানের থানচি উপজেলায়। তবে এখনো রোয়াংছড়ি ও রুমা দুই উপজেলায় ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।
গতকাল আইনশৃঙ্খলার বাহিনী ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পর্যটকদের ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন।
রবিবার (২৩ জুন ) আজ থেকে থানচিতে কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। একই সাথে পর্যটক গাইডের কয়েকটি নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রশাসন। পর্যটকরা সদর উপজেলা থেকে তমা তঙ্গী, তিন্দু বড় পাথর ও রেমাক্রি মুখ পর্যন্ত যেতে পারবে। এই ছাড়া পর্যটকরা অনান্য স্থানে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
সাম্প্রতিক কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলার পর্যটকদের ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন। এরপর থেকে এই উপজেলায় গুলোতে ব্যবসা ধ্বসের পাশাপাশি পর্যটক গাইডরা কর্মহীন হয়ে পড়ে। আয়ের উৎস না থাকায় পর্যটক গাইডের অর্থনৈতিক ক্ষতির স্বীকার হন। এর আগেও দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে এই উপজেলায়। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে থানচি উপজেলা থেকে নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার করল প্রশাসন। এতে কিছুটা আয়ের পথ পেয়ে খুশী সংশ্লিষ্ট সকলের।
পর্যটক গাইড সমিতি সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বলেন, প্রায় তিন মাসের কাছাকাছি সব পর্যটন স্পট বন্ধ থাকার পর পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসন থেকে পর্যটক গাইড সমিতিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কোথায় যেতে পারবে আর কোথায় যেতে পারবেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বলেন, আজ থেকে পর্যটকরা পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র তমা তঙ্গী, তিন্দু বড় পাথর ও রেমাক্রি মুখ পর্যন্ত পর্যটন স্পটে যেতে পারবেন। নিরাপত্তার কারণে সাময়িক ভাবে এর বাইরে পর্যটন স্পট গুলোতে যাওয়া যাবে না।