টানা কয়েকদিনের বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাত থেকে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আরও বৃদ্ধি বেড়েছে সাঙ্গু নদীর পানি। ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রুমা উপজেলা সদরের লুংঝিরি, বেথেলঘাট, পলিপাড়া, সদরঘাট ও আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন ছোট-বড় ঝিড়ি-ঝর্ণা থেকে নেমে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বাসা-বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন।
ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, রুমা বাজার আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে সাত পরিবারের ২৭জন ও রুমা বাজার মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্রবাসে আশ্রয় নিয়েছে ছয় পরিবারে ১৯জন।
বন্যায় প্লাবিত ভুক্তভোগী পরিবাররা জানান, বর্ষা মৌসুম চলে আসলে চিন্তায় ঘুম নাই,গত বছরের যে বন্যা হয়েছে তা এখনো ভুলতে পারেনি,এ বছরেও এ ধরনের বন্যা হলে আমাদের সন্তান আর পরিবারকে চালাতে খুবই কষ্টকর হয়ে পড়বে।
এদিকে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবান সঙ্গে রুমা এলাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বিঘ্ন ঘটছে যান চলাচলেও। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় এক এলাকার সাথে আরেক এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে রুমা হয়ে বান্দরবান যাওয়ার রাস্তায় পাহাড় ধ্বসে বন্ধ রয়েছে বলে এমন কোন খবর পাওয়া যায় নি।
অন্যদিকে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রুমা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করে হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত) সর্বমোট ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বান্দরবানে। তিনি জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় আরো কয়েকদিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।