রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের বাঘাইহাট বাজরে আঞ্চলিক দুটি সংগঠনের গোলাগুলির ঘটনায় শান্তি পরিবহনের সুপারভাইজার মো. নাঈম হোসেন(২৮) নিহত হওযার প্রতিবাদে লক্ষ্মীছড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়েছে। ২০ জুন বৃহস্পতিবার স্বত:স্ফুর্তভাবে সর্বাত্বক আধাবেলা হরতাল পালিত হয়। ১৯ জুন বুধবার বিকেলে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তবে এ হরতালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি। যে কোনো অনাকাংখিত ঘটনা এড়াতে পুলিশীটহল জোরদার করা হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো চোখে পড়ার মত। পিকেটারদের কঠোর অবস্থানের কারণে কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। দোকান-পাট খোলেনি। কেউ কেউ সকালের শুরুতে দোকন খুলতে চাইলেও হরতাল সমর্থকরা উপস্থিত হলে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। প্রয়োজনের তাগিদে সাধারণ মানুষ বের হলেও যানবাহন না থাকায় পায়ে হেঁটে বাজার কিংবা অফিস-আদালতে যেতে হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দূর-দূরান্ত থকে আসা যাত্রীরা আটকা পড়েছে লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি সীমান্ত এলাকা মগাইছড়িতে। লক্ষ্মীছড়ি থানার এসআই মো: আনোয়ার হোসেন জানান, শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল শেষ হয়েছে। পুরো এলাকায় পুলিশ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
খবরে প্রকাশ, ১৮ জুন মঙ্গলবার দুপুরে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের বাঘাইহাট বাজরে উপজাতীয় সন্ত্রাসী দু’পক্ষের গোলাগুলিতে নাঈম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয় আরো ২জন। আহতদের মধ্যে দুলেই চাকমা ও চিক্কো চাকমা নামে দু’জনের নাম পাওয়া গেছে। নাঈম এর নিজ বাড়ি লক্ষ্মীছড়ির জুর্গাছড়ি এলাকায়। নাঈম জন্মের আগেই তার পিতার মো. নজরুল ইসলাম নিখোঁজ হন। ৪ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে নাঈম সবার ছোট। নাঈমের অন্তসত্তা স্ত্রী রয়েছে। বুধবার খাগড়াছড়িতে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ লক্ষ্মীছড়িতে নিয়ে আসলে জানাজা শেষে থানা মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে গতকাল বুধবার বিক্ষোভ সমাবেশ কওে স্থানীয় জনসাধারণ সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে নাঈম হত্যার বিচার দাবি করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।