বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়ন অধীনস্থ ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের বাকলাই পাড়া সাব জোনে শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আন্ত:পাড়া ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ আয়োজন করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০ ঘটিকায় দুলাচরণ পাড়া ফুটবল মাঠে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এবং বিভিন্ন অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ফুটবল ও জার্সি বিতরণ কার্যক্রমের মাধ্যমে এই ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাকলাই পাড়া সাবজোন আন্ত: পাড়া ফুটবল প্রতিযোগিতায় সর্ব মোট ১০টি দল অংশগ্রহণ করেন। বাকলাই পাড়া, প্রাতা পাড়া, বাসিরাম পাড়া, কংলাইপাড়া, কাইথন পাড়া, শিমলম্বি পাড়া, শেরকর পাড়া, দোলাচরণ পাড়া, নয়াচরণ পাড়া, বল্লম পাড়া মিলে সর্ব মোট ১০টি দল ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে।
বাসিরাম পাড়া বনাম দুলাচরণ পাড়া ফুটবল দলের খেলার মধ্যে দিয়ে বাকলাই পাড়া সাব জোন আন্ত: পাড়া ফুটবল প্রতিযোগিতার শুভ সূচনা করা হয়।
আন্ত:পাড়া ফুটবল প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের জোন উপ-অধিনায়ক মেজর আনোয়ারুল হোসেন, পিএসসি ও বাকলাই পাড়া সাবজোন কমান্ডার মেজর আরাফাত রোকনী প্রমুখ।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৩ নং থানচি সদরের চেয়ারম্যান অং প্রো ম্নো, ইউপি মেম্বার জীবন ত্রিপুরা ও ইউপি মেম্বার কোয়াল কার বম। এছাড়াও আনন্দগন মুহূর্তে অত্র সাবজোনের অফিসার, জেসিও , সেনা সদস্যবৃন্দ ও বাকলাই পাড়া সাবজোন ক্রীড়া প্রেমী মানুষগন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটি আরো প্রাণবন্ত করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, খেলার মাঠে আমাদের মধ্যে কোন প্রকার বৈষম্য নাই বরং আমরা সবাই খেলোয়াড়। খেলাধুলার মাধ্যমে বিভেদ নয় বরং ঐক্য গড়ে তুলতে হবে, সকলকে একযোগে কাজ করে ফুটবল খেলা কে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। খেলাধুলার মাধ্যমে পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি সুদৃঢ় করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়ে গ্রাম গঞ্জে মাঠে-ঘাটে খেলাধুলা বিষয়টি বিলুপ্তির পথে। যে বয়সে তরুণ প্রজন্মদের মাঠে থাকার কথা সে বয়সে তারা অন্যথায় অপ্রয়োজনে সময় নষ্ট করে বিপথগামী হচ্ছে। খেলার মাঠ যেমন শারীরিক কাঠামো বজায় রাখার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে পাশাপাশি মনকে প্রফুল্ল রাখতেও সাহায্য করে।
খেলাধুলা চর্চার সঙ্গে জড়িত থাকলে কোন যুবক-যুবতী অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারে না তাই যুব সমাজকে লেখাপড়ার পাশাপাশি সাহিত্য সংস্কৃতি ও খেলাধুলার মাঠে ফিরিয়ে নিতে হবে। তবেই তো জাতি ধর্ম নির্বিশেষে কিছু দেয়া সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, আজকের এই খেলার মধ্য দিয়ে আমরা সাম্যের গীত গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই ধরনের খেলা চলমান রাখার আশ্বাস দেন।
আজকের খেলার আয়োজন করায় ১৬ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জনসাধারণের। পাশাপাশি বর্তমানের ন্যায় ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রমকে চলমান রাখার আহ্বান জানান।