আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের দাবী সেনা প্রধানের

বান্দরবানে কেএনএফ এর বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর সাড়াঁশি অভিযান শুরু

এইচ এম সম্রাট, বান্দরবান : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৩১:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

সেনা প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দীন আহাম্মেদ বলেছেন,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ঘোষনার পর বান্দরবানের রুমা ও থানছিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করার পর গতকাল রাতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি অস্ত্র ও গোলা বারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র খোয়া যাওয়া অস্ত্র কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল অভিযান ঘোষনার পর থেকে র‍্যাব,সেনাবাহিনী,বিজিবি,পুলিশ ও আনসার প্রত্যেক সংস্থা নিজ নিজ জায়গা থেকে অভিযানে অংশ নিয়েছে। সরকার চেয়েছিল কেএনএফ সাথে রাষ্ট্রীয় ভাবে আলাপ আলোচনা করে তাদের দাবী ও সমস্যা সামাধান করতে। এজন্য শান্তি কমিটি নামে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি তাদের সাথে একাধিকবার সরাসরি আলোচনায় অংশ নিয়েছে। বৈঠকে কেএনএফ এর নেতৃবৃন্দ স্ব:স্পূর্ত অংশ নিয়েছিল। বৈঠকে কেএনএফ নেতৃবৃন্দ একবারও বলেনি এটা মানি বা ওটা মানিনি। তারা শান্তি বৈঠকেও অংশ নিবে আবার সন্ত্রাসী কার্যক্রমও চালিয়ে যাবে তা হতে দেয়া হবেনা।

র‌বিবার (৭এপ্রিল) দুপুর ১টার সময় সদর সেনা জো‌নের মা‌ঠে এক মত‌বি‌নিময় সভায় সাংবা‌দিক‌দের তিনি একথা ব‌লেন । 

সেনা প্রধান আরো ব‌লেন,প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিষ্কার বাংলাদেশের জনগনের জন্য,শান্তির জন্য যা করনীয় তা করতে হবে এবং আমরা তাই করে যাচ্ছি। বাংলা‌দেশ সেনাবা‌হিনীর যে দা‌য়িত্বগু‌লো পালন করা বি‌শেষ ক‌রে যৌথ অ‌ভিযা‌নে নেতৃত্ব দেয়া তা পেশাদা‌রি‌ত্বের সা‌থে পালন কর‌বো। আমা‌দের অল‌রে‌ডি প‌রিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু হ‌য়ে গে‌ছে।‌ তারা বাংলাদেশের ভিতরে কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য যেসব ঘাটি তৈরি করেছিলো সবকটি আমরা দখলে নিয়েছি।

এসময় সেনা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও সাংবা‌দিকরা উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রাত সাড়ে ৯টার দিকে এসে রুমা ইউএনও অফিসসংলগ্ন মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে। 

পরে তারা সোনালী ব্যাংকের টাকাসহ ডিউটিরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তারা যাওয়ার সময় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে।

পরের দিন বুধবার (৩ এপ্রিল) থানচি উপজেলা শহরের সোনালী ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি হয়।

রুমার ঘটনার পরপর যৌথ অভিযান চালিয়ে (৪এপ্রিল) রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখার অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে র‌্যাব ও সেনাবাহিনী।