নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের অতিগুরুত্বপুর্ণ পয়েন্ট সমূহ ও এলাকায় যাতায়াতের অন্যতম প্রধান যাতায়াত মাধ্যম নাইক্ষ্যংছড়ির তুলাতলী-দোছড়ি( লেবুছড়ি) সংযোগ সড়কটি । যে সড়কের বর্তমান অবস্থা বেহাল। এ দশা আজ ২ মাস ধরে । তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিচ্চিল সড়কে সীমান্তরক্ষী বিজিবি ও স্বাস্থ্যকর্মি। বিশেষ করে চাঁদের গাড়িতে ( লক্কর-ঝক্কর মার্কা পুরোনো জীপ) চড়ে শিক্ষক,শিক্ষার্থী,কৃষক,শখের বাগান মালিক,এলাকার সাধারণ মানুষ ও সরকারী/ বেসরকারী সেবাখাতে নিয়োজিতরা চলাচল করছে প্রতিনিয়ত। এ সড়কে বিগত ১ যুগে অনেক যাত্রী মারা গেছে। এ প্রতিবেদক সরেজমিন গিয়ে এ তথ্য পান সড়কে চলাচলকারী স্থানীয় বাসিন্দা ও অপরাপর যাত্রিদের কাছ থেকে। এ বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রাখেন বৃহস্পতিবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আইন-শৃংখলা মাসিক সভায় একাধিক বক্তা। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন অতিঝুঁকিতে লোকজন যাতায়াত করছেন।
সভার কমিটির একাধিক সদস্য জানান,
বিষয় অতি জনগুরুত্বপূর্ণ। এ সীমান্ত এলাকায় কোন সমস্যা দেখা দিলে। সড়কের এমন অবস্থায়
সীমান্তরক্ষীদের দ্রুত সীমান্তে যেতে হয়।
আরো নানা কারণে সড়কটির গুরুত্ব বহন করে। তাই কাল বিলম্ব না করে সংস্কারের দাবী জানান তারা। বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভার প্রধান অতিথি নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফাইল আহমদ সড়কের ভঙ্গুর ও গর্ত সৃষ্টি হওয়া অংশটির দ্রুত সংস্কারের অনুরোধ জানান উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে।
এদিকে দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ জানান, এটি উপজেলা সদরের কাছাকাছি। উপজেলার অন্যতম প্রধান সড়ক। গত ৩ বছর আগে সড়কটিতে কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন করা হয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই
ধীরে ধীরে এ কার্পেটিং উঠা শুরু করে।
বর্তমানে এ সড়কের ৪ কিলোমিটার এলাকার প্রথম উঠনি তথা পুর্বদিক থেকে ২ কিলোমিটার এলাকায় গর্তের সৃষ্টি হয় কয়েকশত । কিছু কিছু গর্ত বেশ বড়। যে পাহাড়ি পথ (উঠনি) পেরিয়ে গাড়ি চলাচল করা কষ্টসাধ্য ও অতিঝুঁকিপুর্ণ। লেম্বুছড়ির পল্লী চিকিৎসক মোঃ মান্নান বলেন,আমাদের সব প্রকার যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কটি স্থায়ী ভাবে সংস্কারক হোক দ্রুততার সাথে এটাই আমার এবং এলাকাবাসীর চাওয়া।