নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে অবৈধ ইটভাটা ও স-মিলের অভিযান চালিয়ে ৪ লক্ষ ইট ও ৫ হাজার কাঠ জব্দ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। একই সাথে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানান,ইটভাটা ও স-মিলের মালিকরা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করার দায়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন যৌথ কতৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কেআরই (KRE) ইটভাটায় তৃতীয়বারের মতো অভিযান পরিচালনা করা হয় রোববারও । এর আগে আরো ২ বার অভিযান চালানো হয় এ একটিতে।
সূত্র নিশ্চিত করেন,রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট ইশরাত জাহান ইতু নেতৃত্ব ঘুমধুম ইউনিয়নের আজুখাইয়া এলাকায় এই যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক সরকার, তিন পার্বত্য জেলা বন ও পাহাড় সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সংবাদ কর্মী কফিল উদ্দিন জয়, ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাব-ইন্সপেক্টর নাঈম উদ্দিন এবং বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিস সহ সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে কে আর ই ইটভাটাটির আনুমানিক ৩ লক্ষ পাকা ইট এবং ১ লক্ষ কাঁচা ইটের পাশাপাশি ৫ হাজার ঘনফুট জ্বালানি কাঠ জব্দ করা হয়। ইট ভাটায় অভিযান শেষে আজুখাইয়া এলাকায় ২ টি অবৈধ করাত কলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ৫ হাজার ঘটফুট অবৈধকাঠ জব্দ করা হয়।এসময় বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম বলেন পরিবেশ বিনষ্টকারী অবৈধ ইট ভাটা এর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে ও অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো জানান, ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আজুখাইয়া এলাকার আবুল কালাম মেম্বারের স'মিল ৫ হাজার এবং ফরিদুল আলমের স'মিল থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এ সময় ফরিদুল আলমের স'মিলে মজুদকৃত প্রায় ৫ হাজার ঘনফুট ( কাগজপত্রবিহীন) আকাশমনি গাছ জব্দ করা হয়।
তবে স্থানীয়দের দাবী, আরো অবৈধ ইটভাটা এ এলাকায় পরিচালনা করে আসছে কতিপয় প্রভাবশালী। এ গুলোতে
অভিযান চালানো হউক।