বান্দরবানের নাইক্ষ্য্যছড়ি উপজেলার পাইনছড়ি সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গুলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ২ মাস পর সীমান্তের এ পয়েন্টে নতুন করে গোলাগুলির আওয়াজে উভয় দেশের
চোরাবারবারী ও সাধারণ নাগরিকরা কিছুটা দু:চিন্তায় পড়েছে। অনেকে আতংকিতও।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম এ প্রতিবেদককে বলেন,তারা স্থানীয় লোক হলেও তারা চট্টগ্রামে গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। ঈদের ছুটিতে তারা আসেন বাড়িতে। আজ-কালের মধ্যে তারা চট্টগ্রাম চলে যাবেন । এরই মধ্যে
মঙ্গলবার ( ২৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮ টায় এ গোলাগুলির শব্দ শুনে তারা কিছুটা ভয় পেলেও পরে এলাকার লোকজনের
অভয়বানীতে তাদের ভয় কেটে যায়।
অপর বাসিন্দা ছৈয়দ নূর ও ফরিদুল আলম জানান,এ সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে
চোরাকারবার হতো। গেল ঈদুল আজহার
১ সপ্তাহ পূর্ব থেকে এ পয়েন্টে চোরাকারবার বন্ধ হয়ে যায়। ওপারের রাখাইন বিদ্রোহী গ্রুপ আরকান আর্মির সাথে আরএসওর সশস্ত্র গোষ্টির মধ্যে মতদ্বৈততার কারণে উভয় পক্ষ মূখিমূখি অবস্থানে বর্তমানে৷ এ কারণে এ পয়েন্টে
চোরাচালান বন্ধ হয়ে যায় বলে তাদের দাবী ।
তারা এটিও মনে করেন,উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এক কথায়
মঙ্গলবার সকালের গোলাগুলির ঘটনা তারই অংশ বিশেষ।
স্থানীয়রা আরো জানান, বাংলাদেশ-মিয়ানমানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত জুড়ে বিজিবি সতর্কাবস্থানে রয়েছে। তারা নিয়মিত টহলও দিচ্ছে।
তবে একাধিকবার চেষ্ঠা করেও দায়িত্বরত ১১ বিজিবি পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয় নি।