আজ মঙ্গলবার ৭ মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১
এবারের ঈদে

নাইক্ষ্যংছড়িতে দুস্তদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ,২ ইউনিয়নে অনিয়মের অভিযোগ

মোঃ ইফসান খান ইমন, নাইক্ষ‍্যংজড়ি: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৯ এপ্রিল ২০২৪ ০১:০৫:০০ পূর্বাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

এবারের ঈদে নাইক্ষ্যংছড়িতে  ১ লক্ষ ৩৬ হাজার  কেজি  ভিজিএফ'র  চাল ১২ ক্যাটাগরির হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে

 বিতরণ করেছে সরকার। জনপ্রতি  ১০ কেজি করে এ চাল  বিরতণ করার দায়িত্ব পান উপজেলার ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান- মেস্বারগণ। 

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে,এবারে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সরকারের দৃর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দকৃত এ চাল বিতরণ করা হয় ১২ ক্যাটাগরির দূস্থ ও অতিদরিদ্রদের অগ্রাধিকার দিয়ে। 

 

মন্ত্রনালয় সূত্র আরো জানান,১২ ক্যাটাগরীর এ গরীব লোকগুলো হলেন,ভূমিহীন-গৃহহীন,দিন মজুর,ভিক্ষূক,

অস্বচ্ছল,স্কুলগামী শ্রমজীবি শিশু,উপার্জনক্ষম পরিবার,স্বামী পরিত্যক্তা-তালাকপ্রাপ্তা মহিলা,অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবদ্ধী,ক্ষুদ্র ঋণ না পাওয়া গরীব পরিবার,দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থ/ খাদ্য সংকটাপন্ন ব্যক্তি ও যারা বছরের অধিকাংশ সময় দু'বেলা খাবার পায় না এমন ব্যক্তি। 

 

শর্ত থাকে যে, উপরোক্ত শ্রেণির শর্তাবলীর মধ্য কমপক্ষে ৪ টি শর্ত পূরণ করে এমন ব্যক্তি / দু:স্থ পরিবার/ অতিদরিদ্রদের মাঝে এ চাল বিতরণ করতে মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। 

 

 কিন্তু উপজেলা ৫ ইউনিয়নের মধ্যে বাইশারী ও সোনাইছড়িতে এ   ১২ ক্যাটাগরীর লোকজন ছাড়াও স্বচ্ছল অনেককে  এ চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে । যাতে অনেক হতদরিদ্র বাদ পড়েছেন  বলে অভিযোগ তাদের  । আবার এ চাল বিতরণকালে অনেককে  ১০ কেজি থেকে কমও  বিতরণ করা হয়েছে । 

এ প্রতিবেদক সরেজমিন গিয়ে অনুসন্ধানকালে স্থানীয় লোকজন থেকে  এ তথ্য পান।

 তথ্য মতে, আর এ সব বিষয়ে এই  দু' চেয়ারম্যান যথাক্রমে মোহাম্মদ আলম ও এ্যানি মার্মার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে তাদের বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয় নি। 

 

এদিকে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন,৫ ইউনিয়নে চাল বরাদ্দ দেয়া হয় যথাক্রমে

সদর ইউনিয়নে ৩৬ হাজার ১০০ কেজি, বাইশারীতে ৩৪ হাজার কেজি,ঘুমধুমে ৩৩ হাজার ৯০ কেজি,দৌছড়িতে ১৫ হাজার ৩ শত কেজি ও সোনাইছড়িতে ১৮ হাজার কেজি। যা ১২ ক্যাটাগরির দুস্তদের মাঝে বিতরণ করার কথা। 

তিনি এ প্রতিবেদককে উপরের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন,তিনি এ বিষয়ে এখনও কোন অভিযোগ পান নি এমন কি শুনেন ও নি। 

তবে পরে তালিকা যাচাই করে এ ধরনের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও  জানান তিনি এ প্রতিবেদককে। 

 

অপর দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবসার ইমন ও ঘুমঘুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা অভিন্ন সূরে বলেন,তাদের কাছে বরাদ্দ  দেয়া চাল তারা সঠিকভাবে বিতরণ করে দিয়েছেন।