নাইক্ষ্যংছড়িতে সীমান্তের ওপারে সাহেববাজারসহ আশপাশ এলাকায় জান্তা বাহিনী ব্যাপকহারে বিমান হামলা করছে বলে জানা গেছে। ২ টি যুদ্ধ বিমান এ হামলা চালিয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। বিমান গুলো সীমান্তের তুমব্রু থেকে জামছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে চক্কর দিয়ে ঘন্টা ব্যাপি বিদ্রোহী আরকান আর্মির অবস্থানে গোলাবর্ষণ করছে ব্য্যপক হারে।
মঙ্গলবার ( ২৬ মার্চ) দুপুরে ২.৪৫ থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত উপযর্পুরি এ হামলা করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র গুলো জানান এ প্রতিবেদককে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র গুলো জানান, রাখাইনে জান্তা বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী আরকান আর্মির মধ্যকার সংঘর্ষ চলে আসছে দীর্ঘ ২ বছর। সম্প্রতি এ সংঘর্ষের তীব্রতা বেড়ে গেলে বিদ্রোহী আরকান আর্মী বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমার বাহিনীর সব চৌকি দখলে নিয়ে নেয়।
এতে জান্তা বাহিনী পিছু হটে। এ অবস্থায় দু' বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের জের পুরো আরকান রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতে জান্তা বাহিনীর ৫০৯ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৬ দফায়। তারা সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩ দফায় ১৭৯ জন আর ঘুমধুমের,তুমব্রু ও হোয়াইকং এ তিন দফায় ৩৩০ জন জান্তা সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। যাদের মধ্য থেকে ৩৩০ জান্তা সদস্যকে ক'দিন আগে বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয় মিয়ানমারে।
এরই মধ্যে ২৬ মার্চ দুপুর ২ টা ধেকে জান্তা বাহিনী উত্তর আরকান জুড়ে বিমান হামলা শুরু করে বিদ্রোহীদের দমনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে:কর্ণেল সাহল আহমদ নোবেল। তিনি বলেন,দুপুর থেকে মিয়ানমার অংশের ভেতরে ফাইটার বিমানে চক্কর দিচ্ছে । তবে বাংলাদেশ সীমান্তের এপারে আসে নি এ বিমান।