আজ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪, ২রা আষাঢ় ১৪৩১

চকরিয়ায় বসতভিটার জায়গা দখলের অপচেষ্টা : ৮০ বছরের বৃদ্ধসহ আহত-৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া: | প্রকাশের সময় : বুধবার ২২ মে ২০২৪ ১১:৫৭:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রকাশ্যে দিবালোকে বসতভিটার জায়গা দখলের 

চেষ্টায় সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়েছে।

এতে বাঁধা দিতে গেলে জবর-দখলকারীদের হামলায় ৮০ বছরের বৃদ্ধসহ চারজনকে বেধড়ক পিঠিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে।

 

বুধবার (২২মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডস্থ বারআউলিয়া নগর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

 

ঘটনায় আহতরা হলেন, ওই এলাকার মৃত

ফকির মোহাম্মদের পুত্র বয়োবৃদ্ধ সুরুত আলী (৭৯), তার তিন সন্তান মাহমুদুল করিম  (৩৬), মিনহাজ উদ্দিন (৩২) ও জাহেদুল ইসলাম (২৮)।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডস্থ বারআউলিয়া নগর এলাকায় মৃত ফকির মোহাম্মদের পুত্র বয়োবৃদ্ধ সুরুত আলী তার দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় বসতভিটার জায়গায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে দীর্ঘকাল যাবত বসতি নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে। তার দখলীয় বসতভিটার জায়গায় বুধবার সকালের দিকে অতর্কিত ভাবে লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্যারচর সিকলঘাটের শামসুল আলমের ছেলে পৌরসভার কর্মচারী হায়দার আলী ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে তার নেতৃত্বে মুরাদ আলী, কোরবান আলী ও ফোরকানুল ইসলামসহ ৫-৬ জন দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রনিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বসতভিটার জায়গা দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে সাইনবোর্ড  স্থাপনা করে। এতে বাঁধা দিতে গেলে তারা সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়। এতে বয়োবৃদ্ধ সুরুত আলী, তার তিন সন্তান মাহমুদুল করিম, মিনহাজ উদ্দিন ও জাহেদুল ইসলামকে বেধড়ক পিঠিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এ হামলা ও মারধরের ঘটনায় থানায় এজাহার দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগী বয়োবৃদ্ধ সুরুত আলী জানান। 

আহত মাহমুদুল করিম বলেন, তাদের পিতার দীর্ঘদিনের দখলীয় বসভিটার জায়গায় আকস্মিক ভাবে সকালে এসে পৌরসভার কর্মচারী হায়দার আলীর নেতৃত্বে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়। এতে বাঁধা দিতে গেলে আমাকে ও আমার বৃদ্ধ বাবা, ভাই ও ভাবিকে মারধর করে মারাত্মক ভাবে আহত করা হয়। এছাড়াও তারা আমাকে টেনেহিঁচড়ে ও মারধর করার সময়ে আমার প্যান্টের পকেটে থাকা ব্যবসায়িক ৮৫ হাজার টাকা ও ব্যাংকের কাগজপত্র লুট করে নেয়।

ঘটনার পর থেকে ওই দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা আমাকে এবং আমাদের পরিবারকে 

প্রাণনাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে নানা ধরণের হয়রানী করার ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এনিয়ে চরম ভাবে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

 

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরণের ঘটনার বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি। থানায় এজাহার দেওয়া হলে  বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।