নগরীর আকবর শাহ বেলাল আতংকে কাঁপছে। নিজের রাজনৈতিক কোন পদ পদবী না থেকেও নগর যুবলীগের এক নেতার ছত্রছায়ায় লাগামহীন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বেলাল।তাঁর রয়েছে নিজস্ব বাহিনী।তাঁর উশৃঙ্খলাতাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে আকবর শাহ এলাকার জনসাধারণ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকার পরও লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছেন স্বয়ং প্রশাসানের।অদৃশ্য ক্ষমতায় প্রশাসনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন।প্রশাসনের চোখের সামনে সকল অপরাধ করেও প্রশাসন কিছুই করতে পারছেনা।স্থানীয়রা তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন।সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে না পারার কারণে তিনি যেমন খুশি তেমন সাজের জীবন যাপন করছেন।তাঁর বিরুদ্ধের অভিযোগের কপি আসে দৈনিক সাঙ্গুর অভিযোগ বাক্সে।পরিচয় গোপন রেখে সরজমিন পরিদর্শনে এক চায়ের দোকানদারের কাছে জানতে চাই বেলালকে চিনেন কিনা।জবাবে বলেন,তিনিই এলাকার মা-বাপ।দোকানদার উল্টো বলেন,কেন জায়গা জমি দখল নিতে চান কিনা।তাঁর কথার সাথে হ্যাঁ বলে জানতে চাই, বেলালকে দিয়ে কি জায়গা দখল নেওয়া সম্ভব ? জবাবে, তাঁর কাজেই জায়গা দখল চাঁদাবাজি করা।আরেক পাশ থেকে ইমরান কবির নামে একজন বলে উঠেন,তাঁর টিনের ঘর দখল নিয়ে আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বেলাল।যতোদূর যাই, শুধু উঠে আসে বেলাল কাহিনী।সাধারণ মানুষের দাবী, এখন বেলালকে থামানো না হলে, আকবর শাহ হয়ে উঠবে অপরাধের স্বর্গরাজ্য।বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময়ে বেলালের জমি দখল বাণিজ্যের সাথে চাঁদাবাজিতে মানুষের বোবাকান্না পৌঁছাচ্ছেনা প্রশাসনের কানে।আকবর শাহ থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,তাকে আটক করা হয়েছিলো।আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।নগর গোয়েন্দা তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে।নগর পুলিশ কমিশনার (সিএমপি) এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বলেন,পরিচয় গোপন রেখে তাঁর অপরাধ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার।দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অপরাধী যে দলের বা যতো প্রভাবশালী হোক কোন ছাড় দেওয়া হবেনা।যার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ বেলাল উদ্দিন জুয়েল বলেন,তিনি কোন অপরাধের সাথে জড়িত নন।রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা কোন কিছু করতে না পেরে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ দিচ্ছেন। তাঁর সামনে এসে একজনও অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে যেকোনো শাস্তি মেনে নিবেন।আপনি কেন আটক হলেন এবং আপনার বিরুদ্ধে মামলা কেন জবাবে বলেন,রাজনীতি করলে মামলা অভিযোগ স্বাভাবিক বিষয়।