আজ মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১
চলছে শেষ মূহুর্তের কেনা বেচা

সন্দ্বীপে চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশু তিনগুণ বেশি, তারপর ও দাম নাগালের বাহিরে

ইলিয়াছ সুমন, সন্দ্বীপ : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ ০৮:১৭:০০ অপরাহ্ন | দেশ প্রান্তর

আগামী সোমবার  পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সন্দ্বীপে  কোরবানিযোগ্য পশুর পরিচর্যা ও প্রস্তুতি কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও খামারিরা। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের তথ্য সুত্র মতে  এ বছর সন্দ্বীপ  উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ২৪ হাজার। প্রস্তুত আছে  ৮০ হাজার ৮৭৯টি। বেশি আছে ৫৬ হাজার ৮৭৯টি। আর কোরবানির জন্য প্রস্তুতের বাইরেও মজুত পশুর মধ্যে গরু আছে রয়েছে  ৩৭ হাজার ৭৪৮টি, ছাগল ও ভেড়া আছে রয়েছে  ৩০ হাজার ৯৮৭টি। মহিষ রয়েছে ১২ হাজার ১৪৪ টি, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের সুত্রে মতে  সন্দ্বীপে  এবার গরুর চাহিদা ২৪ হাজার টি। 

 

 

ইতোমধ্যে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য সন্দ্বীপে আরো এক সপ্তাহ আগ থেকে   ১৭টি হাটে গবাদি পশু বিক্রি   শুরু হয়েছে। এখন চলছে শেষ মূহুর্তের কেনা বেচা,  সন্দ্বীপে সবচেয়ে বড় পশুর হাট  উত্তর সন্দ্বীপের কালাপানিয়া, সন্তোষপুর, আমানউল্লাহ, গাছুয়া, বাউরিয়া, হরিশপুর, দীর্ঘাপাড়  এলাকায় নতুন বাজার আকবর হাট, দক্ষিণ সন্দ্বীপের শিবের হাট, ধোপার হাট, পন্ডিতের হাট, ঘাটমাঝির হাট, এরশাদ মার্কেট, বকতার হাট, সেনের হাট, তালতলা বাজার, গুপ্তছড়া বাজারের গরুর হাট পরিদর্শন করে খামারি ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে  দেখা গেছে পশুর দাম নাগালের বাহিরে, দাম খুব চড়া, 

 

বকতার হাটে গরু বিক্রি করতে আসা পৌর ৭ নং ওয়ার্ডের খামারি  বেলাল উদ্দিন  বলেন, ‘প্রাকৃতিক উপায়ে উৎকৃষ্ট মানের বড় ষাঁড় ও বলদ গরু লালন-পালন করা হয়। এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। খামারে ২৭টি কোরবানিযোগ্য ষাঁড় আছে। আকার ভেদে যার দাম ৬০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত।’ তিনি বলেন, ‘গরুর খাদ্যের দাম বাড়তি এতে লালন-পালনের খরচ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।  

মুছাপুর ১ নং ওয়ার্ডের খামারি আকবর হোসেন বলেন, গৌ খাদ্যর দাম দিন দিন বেড়ে চলছে, খামারে গরু বিক্রি করে আগের বার ও লস পড়েছি, এবার পশুর চাহিদা রয়েছে আশা করি দাম পাব। 

সন্দ্বীপ উপজেলা  প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলী আজম বলেন  বলেন, ‘এ বছর আমাদের চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পশু রয়েছে,  কোরবানির পশুর চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি। ফলে কোরবানির পশুর জন্য কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না। আমরা প্রতিনিয়ত খামারিদের সঙ্গে বৈঠক করি এবং তাদের সচেতন করি।’