নাইক্ষ্যংছড়ির পাশ্ববর্তী কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ায় সীমান্তে চোরাচালান কারবার নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় গুলিতে এক যুবক খুন হয়েছে। নিহত যুবকের নাম শাহাবুদ্দিন (২৩)। সে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তিতার পাড়া গ্রামের এমদাদ মিয়া প্রকাশ টুক্কুর ছেলে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুকমুনিয়া রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে একদল যুবক সাহাবুদ্দিনকে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে আনে ব্যবসায়িক আলোচনা আছে বলে। ব্যবসার লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয় এক পর্যায়ে। এক পর্যায়ে লেনদেন নিয়ে গরমিল হওয়ায় প্রতিপক্ষ তাকে এলোপাতাড়ি মাতুলের আঘাত করতে থাকে। স্বজনরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ হ্যাল্প লাইন (৯৯৯) এ কল দিলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। ধারণা করা হচ্ছে আহত সাহাবুদ্দিনের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে সে মারা যায়। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন পুলিশ।
এদিকে পুলিশ একটি সূত্রে জানায়, তারা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। আর সেখানে উপস্থিত লোকজনের জেনে ঘটনায় সাথে জড়িত সন্দেহে আনছারুল্লাহ নামের একজনকে আটক করেন তারা। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাহাবুদ্দিনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়। সে কোন অবৈধ কাজের সাথে জড়িত না। প্রভাবশালীরা খুনিদের বাঁচাতে সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে অপবাদ রটাচ্ছে। অপর একটি সূত্রে জানা যায়, খুন হওয়া সাহাবুদ্দিন মূলত সীমান্তের অবৈধ পণ্যের ব্যবসায়ী। এ ব্যবসার লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ ও সৃষ্ট ঘটনায় সাহাবুদ্দিন খুন হন। সে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। অন্য একটি সূত্র নিশ্চিত করে জানায়, ঘটনার সময় এক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান তারা। তবে কে বা কারা এ গুলি চালায় তা সঠিক তথ্য এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কেউ পায়নি।
রামু থানাধীন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) এস.আই. রাজস্ব বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একজনকে আটক করেছেন তারা। বাকিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ ইমন চৌধুরী বলেন, বিষয় যাই হোক না কেন খুনের বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ অভিযুক্তদের পাকড়াও করবে। ছাড় নেই। অভিযান শুরু হয়ে গেছে অলরেডি।