বাংলাদেশ খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতি চট্টগ্রাম সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ফলাফল ঘোষনার প্রাক্কালে জনৈক প্রার্থীর নেতৃত্বে কিছু বহিরাগত ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনকে ফলাফল ঘোষনা স্থগিত রাখার জন্য বাধ্য করেন। অনন্যেপায় হয়ে নির্বাচন কমিশন এবং উপস্থিত কর্মকর্তাগনের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সমৃদয় ব্যালট বাক্স ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি সীল গালা করে পুলিশ প্রশাসনের জিম্মায় রেখে দেওয়া হয়।
আজ বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই সব অভিযোগ করেন সংগঠনের সাধারণ মো: শাহাব উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, উক্ত নির্বাচনের কার্যক্রম সারাক্ষন সি সি ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয় এবং শ্রম দপ্তরের প্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বরত কর্মকর্তাগনের সার্বক্ষনিক প্রত্যক্ষ নজরদারীর মাধ্যমেই যাবতীয় কর্মকান্ড শেষ করা হয়। সভাপতি পদ প্রার্থী এস এম আবু মনসুর তাৎক্ষনীক নির্বাচন কমিশনকে ভোট পুনঃ গননার জন্য আবেদন করেন। তখন উনার আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুরুপ ব্যবস্থা গ্রহনের সময় এবং অনূকূল পরিবেশ কোনটাই বিদ্যমান ছিল না।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক বরাবরে সমস্যাটির আইনানুগ সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানানো হয়। ইতিমধ্যে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন কল্পে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধক্রমে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর চট্টগ্রাম এর পরিচালকের নিকট চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এর দপ্তর থেকে চিঠি দেওয়া হয়।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনায় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল হক দুলাল, সহ-সভাপতি ধীরেন্দ্র দাস গুপ্ত, আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক (অর্থ) কিছমতুল হাকিম আরজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ( প্রশাসন) মোঃ মাসুদ মাহমুদ. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (অর্থ) আসাদুজ্জামান মজুমদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, অর্থ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সদস্য আমিনুল হক, গোলাম মোস্তফা, শাফায়াত জামান খান, সৈয়দ আশফাক হোসেন (কাউসার) ,মোঃ আবুল বসার( বাহার), জনি কুমার ভূঁঞা ,মোঃ হারুন, সুজাব উদ্দিন খান লিটন, এমজি সারোয়ার প্রমুখ।