আজ বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রামুর কচ্ছপিয়ায় কোরআন প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

মো. ইফসান খান ইমন, নাইক্ষ্যংছড়ি: | প্রকাশের সময় : রবিবার ১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৪২:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

রামুর কচ্ছপিয়ায় হুফফাজুল কোরআন ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে হিফজুল কোরআন ও কেরাত প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া ফাইজুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার মাঠে চলা দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আতিকুর রহমান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন হাফেজখানা থেকে আসা দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

এ প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য ছিল নতুন প্রজন্মের মধ্যে কোরআন শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি এবং হাফেজদের কোরআনের সঠিক তেলাওয়াত ও মেমোরাইজেশন (হিফজ) পরীক্ষা করা। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও উৎসবমুখর পরিবেশে এ প্রতিযোগিতায় আল্লাহর কালামের প্রতি আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন লক্ষ্যে এ আয়োজন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের সুমধুর ধ্বনি পুরো এলাকাকে মুখরিত করে তোলে। বিচারক প্যানেলে ছিলেন দেশের খ্যাতনামা আলেম ও কুরআন গবেষকরা।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা কুরআনের বিভিন্ন সুরা থেকে নির্ধারিত আয়াত তেলাওয়াত করে। তাদের কোরআনের শুদ্ধ উচ্চারণ, তারতীল ও হিফজের মান বিচার করে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়। এর পর কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে সংগঠনের পক্ষে সম্মাননা ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও পুরস্কার হিসাবে নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ড. আল্লামা শায়খ হারুন আজিজি নদভী, কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আতাউল্লাহ মো. নোমান, নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি কালাম সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও. আ. ম রফিকুল ইসলাম, গর্জনিয়া ফাইজুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আইয়ুব, সমাজ সেবক আলহাজ্ব মাওলানা আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ জহির উদ্দিন বদুরু, মওলানা আবুল তাহের, মওলানা নুরুল ইসলাম, মওলানা মুহাম্মদ এজাহার মিয়া, মওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাষ্টার ফাইজুল হাসান, মাষ্টার মাহবুব আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আলেম ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

অতিথিরা এ আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং বলেন ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে কুরআন শিক্ষার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন।