বর্ষা শুরুতেই বান্দরবান শহরে বেড়েছে ডেঙ্গু মশার প্রকোপ। বান্দরবানের সাত উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মোতাবেক জানুয়ারি থেকে ১৬ই জুলাই পর্যন্ত ৮১ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে গত রবিবার আব্দুল্লাহ নামে আট বছরের এক শিশু ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছে।
আর্মি পাড়া, শেরে বাংলা নগর, মেম্বার পাড়া এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে বান্দরবান পৌরসভার পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন স্প্রে ও ব্লেসিং পাউডার পেটানো হয়। ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধে বান্দরবান পৌরসভায় এ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। পৌরসভার এই কর্মসূচি দেখতে যান বান্দরবান পৌরসভা মেয়র মো: শামসুল ইসলাম, পৌরসভার মুখ্য কর্মকর্তা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এ সময় পৌর মেয়র মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম জানান, জুন জুলাই এই দুই মাস ডেঙ্গু মশার বিস্তার লাভ করে। নিচু জায়গা এবং যেসব পাত্রে পানি জমে থাকে সেখানে মশার প্রজনন ক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। মশা নিধনে প্রতিদিন ফগার মেশিনের মাধ্যমে ওষুধ স্প্রে করা হয় এবং ব্লিসিং পাউডার ছাটানো হয়। তিনি জানান ডেঙ্গু মশা ও রোগ প্রতিরোধে পৌরসভার পাশাপাশি এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। এলাকার মানুষ সচেতন হলে ডেঙ্গু সহ সব ধরনের মশা বিস্তারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। এ ব্যাপারে তিনি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এদিকে বান্দরবান জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মো: মাহবুবুর রহমান জানান, ডেঙ্গু মশার প্রজননের মাস জুন এবং জুলাই। এই দুই মাস ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে থাকে। তিনি জানান বান্দরবানের সাত উপজেলা ও পৌরসভায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৬ই জুলাই পর্যন্ত ৮১জন রোগী সনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে বান্দরবান পৌরসভার আর্মীপাড়া এলাকায় মহিলা কমিশনারের বছরের আট বছরের শিশু পুত্র মারা যায়। তিনি আরো জানান বান্দরবান পৌরসভার মধ্যে আর্মীপাড়া, মেম্বার পাড়া, শেরেবাংলা নগর এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। তিনি জানান, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। জনগণ সচেতন না হলে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করা খুব কঠিন।