বান্দরবানে রুমা উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল স্লিপের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার ধর'র বিরুদ্ধে। উপজেলায় মোট ৬৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে শিক্ষা উপকরণ কেনার অজুহাত দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত করেন তিনি।
জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়নের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এই বরাদ্দ প্রতি বছরের এমএমসি'র ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও এবারে ২০২৫সালে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে দায়িত্ব দিলেন সহকারী শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার ধরকে। তবে তিনি উন্নয়নের কাজে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৭-৮ হাজার টাকা করে প্রধান শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নেন ঐ সহকারী শিক্ষা অফিসার।
এ বিষয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের (নাম প্রকাশ্যের অনিচ্ছুক) সাথে মুঠোফোনে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান, ৬৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫হাজার টাকা ও ৫০হাজার টাকা স্লিপের বরাদ্দ টাকা থেকে শিক্ষা উপকরণ কিনার অজুহাত দেখিয়ে ৭-৮হাজার টাকা করে প্রত্যেকটি স্কুল থেকে নিয়েছে রুমা উপজেলার স্কুলের সভাপতি প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার ধর।
তারা আরো বলেন, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর সহকারী শিক্ষা অফিসার আত্মসাতের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছে বলে ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষকেরা সাংবাদিকদের জানান।
অভিযোগ আছে, আলীকদমে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার দায়িত্ব থাকাকালীনও (আশীষ কুমার ধর) বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পরিদর্শনের নামে শিক্ষকদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও নানান সমস্যা কথা বলে অর্থ লুটপাট করেছে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রাথমিক বিভাগের সহকারী শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার ধর'র সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল ধরেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা আশীষ চিরান'র সাথে বিষয়টি সত্যতা জানার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা তিনি বলেন, আমি তো কয়েকটা দিন একটা ট্রেনিং ছিলাম, ওনি (আশীষ কুমার ধর) অফিসের থাকার কালীন প্রধান শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা গুলো হাতিয়ে নিয়েছ। তবে এবিষয়টি আরো খুঁটিয়ে দেখব।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি দায়িত্ব পাওয়াতে অর্থ আত্মসাত করার সুযোগ পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
এদিকে বান্দরবানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই বলেন, আমার কাছে রুমার সহকারী শিক্ষা অফিসার এর বিরুদ্ধে রুমার শিক্ষকগণরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এই অভিযোগে বিষয়টি আমি আর জেলা প্রশাসকের কর্মকর্তা শাহ মোজাহিদ উদ্দিন'র সাথে বিষয়টিকে নিয়ে আলাপ করে এ কয়েকদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি করে যথাযথ ব্যবস্থা নিব ঐ সহকারী শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার ধর এর বিরুদ্ধে ।