খাগড়াছড়ির গুইমারায় স্বামীর প্ররোচনায় মিথ্যা অভিযোগে হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মংশ্যে চৌধুরীসহ জনপ্রতিনিধি কর্তৃক শারীরিকভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মিলকী বড়ুয়া।
আজ রবিবার খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার উপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন এবং হামলায় তার দাতভেঙ্গে ফেললেও থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভুগি নারী জানান,ভালোবেসে ৯৯ সালে বিয়ে করেছিলেন গুইমারার বটতলীর মন্টু কার্বারী পাড়ার চাইহ্লা প্রু মারমাকে। বিয়ের পর পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য তার আত্বীয় স্বজনের সহায়তায় স্বামীকে ফ্রাসে পাঠালে বদলে যেতে থাকে স্বামী। শুরু করে মানষিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে তাকে ডিভোস দেয়ার জন্য নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে এবং বান্দরবানের এক নারীকে বিয়ে করেন।
গত ১১ জানুয়ারী তার এক আত্বীয়সহ ঘরের মালামাল আনতে গেলে পরক্রিয়ার অভিযোগ তুলে তাকে মধ্যযুগী কায়দায় বেদমভাবে মারধর ও নির্যাতন করে । অবস্থা বেগতিক দেখে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। পুলিশ সাদাকাগজে সই স্বাক্ষর রেখে চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি পাঠিয়ে দেয়। চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করতে গেলেও থানা পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি। পরে আদালতে সিআর মামলা রুজু করলে আদালত এজাহার হিসেবে গন্য করার নির্দেশ দেয়। এর পরও পুলিশ নানা টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী নারী ন্যায় বিচার পেতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মংশ্যে চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।