বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের চিউনি পাড়া জামে মসজিদ,হেফজ খানা,এতিম খানা,হাবিবিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার জমি অবৈধ জবর-দখলকারী আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ভূমিদস্যু আব্দুর রউফ তাঁতী ও আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা হেলাল উদ্দীন গং এর কবল থেকে জমি উদ্ধার ও আজিজ নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজেমুল ইসলাম চৌধুরী এবং হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হকসহ আরো ৫ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চিউনি পাড়া ক্যাম্প বাজারে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন বৃহত্তর চিউনি এলাকার শত শত সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত একটি আবদনের সূত্রে জানা যায়,লামা উপজেলার ৪ নং আজিজনগর ইউনিয়নের ৬,৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের ১৯৮২-৮৩ সালের চাম্বি ফাইতং জোনের পূর্নর্বাসিত হয় শতশত পরিবার ।১৯৮২-৮৩ ইং সালে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিউনি পাড়া জামে মসজিদের অনুকূলে হোল্ডিং নং আর/১৮০২ জমির পরিমাণ ৫.০০ একর ও হোল্ডিং নং জি/৩৩৫ জমির পরিমাণ ৪.৫০ একর এবং হাবিবিয়া মাদ্রাস হেফজখানা ও এতিম খানার নামে হোল্ডিং নং আর/১৮০৮ জমির পরিমাণ ৫.০০ একর এবং হোল্ডিং নং জি/৩৩৪ জমির পরিমাণ ৪.৫৮ একর সহ সর্বমোট ১৯.০৮ ৩য় শ্রেণির জমি বন্দোবস্তি প্রদান করা হয়। উক্ত জমির উপরে সেনাবাহিনী তাদের ক্যাম্প নির্মাণ করে পরবর্তীতে উক্ত স্থানে চিউনি পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপিত হয়। বন্দোবস্তি প্রাপ্তির পর হইতে অদ্যবদি উক্ত স্থানে চিউনিপাড়া পাড়া জামে মসজিদ ও হাবিবিয়া মাদ্রাসা হেফজ খানা ও এতিম খানা বিদ্যমান রয়েছে। ১৯৯৪ ইং সালে এলাকার সর্ব সাধারণের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য সরকারি অর্থায়নে একটি বেসরকারি সংস্থা ৫ রুম বিশিষ্ট একটি সেমি পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে উক্ত ভবনটি হাবিবিয়া মাদ্রাসা হেফজ খানা ও এতিম খানা হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে অস্থায়ীভাবে বঙ্গবন্ধু নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিদ্যালয়ের জন্য অন্যত্র নতুন ভবন নির্মিত হওয়ায় বিদ্যালয়টি স্থান্তরিত করা হয়। এমতাবস্থায় অত্র এলাকার ত্রাস ভূমি দস্যু মুক্তিযোদ্ধার নাম অপব্যবহার কারী আ: লীগ নেতা আব্দুর রউফ তাতী রাতের আধারে ভবনটি দখল করে। এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করলে তিনি নিজের জায়গা বলে দাবি করে এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির ভীতি প্রদর্শন করে। ২০০৩ সালে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করে। নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশ মোতাবেক কানুনগো তদন্ত রিপোর্টে বিবাদী ২.০৮ একর জমি জবর দখলের প্রমাণ পাওয়া যায়,পরবর্তীতে বিবাদী বিভিন্ন সময়ে বিগত সরকারের প্রভাব খাটিয়ে আরো ৪.০০ একরের বেশি জমি জবর দখল করে বর্তমানে মসজিদ ও মাদ্রাসার উচ্ছেদ করে পুরো জমি জবর দখল করার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি সহ গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক কোমলমতি ছাত্র ছাত্রী সহ মসজিদের মুসল্লিদেরকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ভয় ভীতি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে লাঠিয়াল বাহানী দিয়ে কয়েক জনকে এলাকা ছাড়া করতে বাধ্য করেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির ছিদ্দিকুর রহমান মাষ্টার বলেন, আমরা আব্দুর রউফ তাঁতীকে জমির বিষয়ে কোন কথা বললে তিনি মামলার ভয় দেখায় ২০১৮ সালে ১৩ জনকে আসামী করে একটি পিটিশন মামলা করে যার নাম্বার ২০৪/১৮। গত ৯/১২/২০২৪ ইং সালে আলহাজ নাজেমুল ইসলাম চৌধুরী সাবেক চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি করছেন মর্মে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। যাহা পিবিআই তদন্তে আছে,৪টি কাগজের মোট ১৯.০৮ একর জমি আছে তার মধ্যে ৬.৬১একর ভূমি দস্যু আব্দুর রউফ তাঁতী ও তার বাহিনীরা জবর-দখল করে রেখেছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-স্থানীয় আব্দুর রব হাওলাদার,হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হক,
মনিরুল ইসলাম রিপন,নুরুল ইসলাম মাষ্টার,
রবিউল ইসলাম মোল্লা, মোঃ মহসিন আলম, হাজ্বী কালা মিয়া,জামাল হোসেন।
বক্তারা জবর-দখল কৃত জমি পূণঃউদ্ধার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ জবর-দখল কারীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবি জানায়।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুর রব তাঁতী এই প্রতিবেদক কে বলেন আমি আমার নিজ নামীয় পুণবাসন আর/৩১০৯ নং হোল্ডিং এর ৫ একর জমিতে ভোগদখল আছি, আমি কারো জায়গা জবর-দখল করি নাই।যদি পরিমাপ করে আমার কাছে ১০হাত জায়গাও পায় আমি ছেড়ে দিবো। ৭১'এর পরাজিত শক্তি আমার পিছনে লেগেছে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃদা) ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) রুপায়ন দেব জানান,আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা লিখিত অভিযোগ পেলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।