আজ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

বান্দরবানে পালিত হচ্ছে প্রবারনা পুর্নিমা

এইচ এম সম্রাট,বান্দরবান : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৯ অক্টোবর ২০২২ ০৭:০৬:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

পাহাড়ী জলা বাদরবান ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্য মধ্যদিয় পালিত হচ্ছে বৌদ্ধধর্মালম্বী মারমা সম্প্রদায়র প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব মাহা ওয়াগ্যাই পােয়েঃ বা প্রবারণা পূর্ণিমা। ওয়াগ্যাই পােয়ঃ কে কেন্দ্র করে শহর ও পাহাড়ী পল্লীগুলাত চলছ ধর্মীয় ও সামাজিক ঐতিহ্যর নানা অনুষ্ঠান। সকাল জাদী গুলোতে অবস্থানরত বৌদ্ধ ভিক্ষু সোয়াইং দান ও সকল প্রাণীজগতর মঙ্গল কামনায় জাদীতে-জাদীতে বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যম শুরু হয়ছ মারমা সম্প্রদায়র ঐতিহ্যবাহী মাহা ওয়াগ্যই পোয়েঃ উৎবস। ওয়াগ্যই পোয়েঃকে ঘিরে উৎসব মূখর হয় উঠছে পাহাড়ি জেলা বাদরবান। শনিবার রাতে বান্দরবান রাজার মাঠে আকাশে ফানুস উড়িয়ে ওয়াগ্যই পোয়েঃ অনুষ্টানের আনুষ্টানিক উদ্বোধন করন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশসিং এমপি। পরে সরকারী বসরকারী সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ফানুস উড়িয়ে অনন্দ ভাগাভাগি করেন। এসময় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মারমা তরুন তরুনীরা তাদের ঐতিহ্যবাহি নৃত্য ও গান পরিবশনর মাধ্যদিয় দর্শকদের মাতিয় তুলন। এদিক ওয়াগ্যই পোয়েঃ উপলক্ষ্যে দ্বিতীয় দিন আজ রবিবারও সকাল থেকে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের ক্যাং গুলোতে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সকালে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষরা নতুন জামা কাপড় পরিধান করে বৌদ্ধ ভিক্ষুর জন্য ক্যাংএ বিশেষ খাবার নিয়ে আসন এবং সবাই মিলিত হয়ে সমবেত প্রার্থনা করেন। জানা যায় আষাঢ়ী পূর্ণিমার থেকে আর্ষিণী পূর্ণিমার পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস পালন শেষে শুরু হয় মারমা সম্প্রদায়র এই ওয়াগ্যই পোয়েঃ উৎবস। এই দিন দায়ক দায়িকারা তিনমাস বর্ষাবাস শেষ করে বিহার থেকে বের হয়ে সব বিবাদ ভুল গিয়ে এক অন্যের প্রতি সম্ভাষণ জানানা ও মনের সব সংকীর্ণতা পরিহার কর অহিংসা পরম ধর্মের দীক্ষিত হয়ে নিজ সংসার ফিরে আসে। আর এই দিন আকাশে ফানুষ উড়িয়ে, বিশেষ প্রার্থণা, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন ও রথযাত্রাসহ নানা কৃষ্টি অনুষ্ঠানর মাধ্যমে নিজেকে পাপমুক্ত কর আগামী দিনের নতুন যাত্রায় অগ্রসর হয়। প্রতিবছর পূর্ণিমার তিথিত বৌদ্ধ ধর্মালম্বী মারমা সম্প্রদায়রা এউৎসবটি পালন কর থাকে। উৎসবকে ঘিরে মারমা পল্লী গুলোতে বর্তমান বইছ আনন্দের বন্যা। এদিকে ওয়াগ্যই পোয়েঃ উপলক্ষ্য আজ রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন ক্যাংল ও পাড়ায় পাড়ায় উড়ানো হচ্ছে ফানুষ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিঠা তৈরী, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন, রথ যাত্রা । আগামী কাল সােমবার সাঙ্গু নদীতে রথ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তিন দিনের অনুষ্ঠান শেষ হব।