সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বান্দরবানে দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়ােজন শুরু সনাতন ধর্মালম্বীদর অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম উপলক্ষে বাদরবান দুইদিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচীর আয়োজন করা হয়েছে।
শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন সনাতন ধর্মের প্রবক্তা ও প্রাণপুরুষ। প্রচলিত বিশ্বাস মতে, দ্বাপর যুগের শেষ দিকে এই মহাপুণ্য তিথিতে মথুরা নগরীতে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে বন্দি দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত ক্রোড়ে জন্ম নিয়েছিলেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।
ধর্মানুসারে, ঈশ্বরতত্ত্বের মহান প্রতীক হলেন শ্রীকৃষ্ণ। বেদে তিনি ঋষিকৃষ্ণ, দেবতাকৃষ্ণ। মহাভারতে রাজর্ষিকৃষ্ণ, শাসক ও প্রজাপালক কৃষ্ণ, অত্যাচারী দমনে যোদ্ধাকৃষ্ণ। ইতিহাসে যাদবকৃষ্ণ, দর্শনশাস্ত্রে সচ্চিদানন্দ বিগ্রহ কৃষ্ণ। শ্রীমদ্ভগবদগীতায় অবতারকৃষ্ণ, দার্শনিক কৃষ্ণ, পুরুষোত্তম কৃষ্ণ, ঈশ্বরায়িত কৃষ্ণ।
ঐতিহাসিকদের বিবেচনায় খ্রিস্টপূর্ব ৯০০-১০০০ সালে সনাতম ধর্মের প্রাণপুরুষ শ্রীকৃষ্ণের অবির্ভাব ঘটে। তার জন্মের সময় এ বিশ্বব্রহ্মা- পাপ ও অরাজকতায় পরিপূর্ণ ছিল।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানব জাতিকে রক্ষার জন্যই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ১৮ ই আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়ােজনে বান্দরবান রাজার মাঠে প্রধান অতিথি হিসবে উপস্থিত থেকে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তােলন করে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করেন চট্টগ্রামর তুলসীধামের শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানদ পুরী মহারাজ।
এসময় বাঙ্গালহালিয়া জ্যােতিশ্বর বিদ্যামঠ ও মিশনর অধ্যক্ষ স্বামী অভদানদ ব্রহ্মচারী মহারাজ,বান্দরবান কেদ্রীয় দূর্গা মদিরের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ, বান্দরবান জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুজন চৌধুরী সনজয়,সাধারণ সম্পাদক অমল চৌধুরী (টিটু)সহ সনাতনী সম্প্রদায়ের ভক্তবিদুরা উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান¯ল অনুষ্ঠিত হবে ধর্মসভা আর এতে প্রধান অতিথি হিসবে উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য মন্ত্রলায়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশ সুপার জেরিন আখতার ,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এক এম জাহাঙ্গীরসহ সুশীল সমাজর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন । রাত ৮টায় মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাস অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ আগস্ট শুক্রবার সকালে জন্মাষ্টমী উপলক্ষর বর্ণাঢ্য আয়ােজনে একটি শােভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে পরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে পূজা আর মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে।
নানা ধর্মীয় আনুষ্টানিকতা শেষে ২০ শে আগস্ট শনিবার ভােরে মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতি,নগর পরিক্রমা ও শুভেছা বিনিময়র মধ্য দিয়ে বান্দরবানে শেষ হবে দুইদিনব্যাপী এই বর্ণাঢ্য আয়ােজন।