আজ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

বান্দরবান খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধ পোকা মাকড় ও ময়লা যুক্ত ওএমএস চাল সরবরাহের অভিযোগ

এইচ এম সম্রাট,বান্দরবান : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৯ অগাস্ট ২০২২ ০৭:২২:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

বান্দরবান খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি,এলএসডি) মোঃ সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধ পোকা মাকড় ও ময়লা আর্বজনা যুক্ত ওএমএস চাল সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়,সরকারের গৃহিত প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের ন্যায় বান্দরবান পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডসহ জেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে বিতরন করা হচ্ছে  সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রতি কেজী ৩০টাকা মুল্যে ওএমএস চাল।

কিন্তু বান্দরবান খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারনে ভেস্তে যেতে বসছে সরকারের ওএমএস চাল বিতরন কর্মসুচী।

 ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার(২৮ আগষ্ট) বান্দরবান পৌর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যায়, ডিলাররা বিভিন্ন ওয়ার্ড নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে সরকারী ভর্তুকী দেয়া ওএমএস চাল বিতরন কার্যক্রম চলছে। বিতরনের জন্য মজুদ করা সরকারী চালে ঈঁদুরের মল মুত্র,পোকা মাকড় ও ময়লা আর্বজনা মিশ্রিত থাকায় ভোক্তারা চাল গ্রহনে অস্বীকৃতি জানায়। এঘটনায় ভোক্তাদের সাথে ডিলারদের  বাকবিতন্ড ও কথা কাটাকাটি হয়। এসময় অনেক ভোক্তা চাল না নিয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়। বান্দরবান পৌর এলাকার ৮ ওয়ার্ডে চাল নিতে আসা কয়েকজন ভোক্তা জানান,এখানে আমাদের মধ্যে বিতরনের জন্য রাখা চাল গুলো ঈঁদুরের মল মুত্র,পোকা মাকড়,পাথরের টুকরা ও ময়লা আর্বজনায় ভরা। তাছাড়া এই চাল অনেক দিনের পুরনো এবং খাবারের অনুপযোগী। তারা সরকারের কাছে ভাল মানের ও খাবার উপযোগী চাল বিতরনের দাবী জানান। এব্যপারে বান্দরবান পৌর এলাকার ৮ ওয়ার্ডের চাল ওএমএস ডিলার মোঃ আব্দুল জলিল জানান, এই ওয়ার্ডের জন্য তিন দিন পর পর  ৩ মেঃটন চাল বরাদ্ধ দিয়েছে সরকার। এই চাল গুলো আমি বান্দরবান সদর খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করি। তিনি অভিযোগ করে বলেন,প্রায় সময় এসব চাল অত্যন্ত নিন্ম মানের ও নানান রকমের ময়লা আর্বজনা মিশ্রীত থাকে। এসব চাল লোকজন নিতে চায়না। কাউকে জোর করে দিতে আমাদেরও বিবেকে বাঁধে। এই চাল গুলোর মান অত্যন্ত খারাপ ও ময়লা যুক্ত হওয়ায় এবং লোকজন নিতে আগ্রহী না হওয়ায় চাল নিয়ে আমি বিপাকে পড়েছি। 

এব্যপারে বান্দরবান খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি,এলএসডি) মোঃ সালাউদ্দীন ডিলারদের নিকট ময়লা ও আর্বজনা মিশ্রীত ওএমএস চাল বিতরনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, গুদামে মজুদ রাখা সব চাল ভাল এবং এসব চাল বিদেশ থেকে আমদানি করা। ডিলারদের কাছে নিন্ম মানের ও ময়লা মিশ্রিত ওএমএস চাল বিতরনের কোন প্রশ্নে আসেনা।

এদিকে বান্দরবান খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি,এলএসডি) মোঃ সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন কর্মসুচী উপলক্ষে বরাদ্ধা দেয়া উন্নত মানের চাল বিক্রি করে নিন্ম মানের চাল সরবরাহের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। 

নাম প্রকাশে অনিচ্চুক স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীরা জানান,বান্দরবান খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি,এলএসডি) মোঃ সালাউদ্দীন বান্দরবানের এক আ'লীগের নেতার সহযোগীতায় বর্তমান কর্মস্থলে যোগদান করেন। তার পর থেকে তিনি ঐ আ'লীগ নেতার সাথে পাটনারশীপ ডিও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। তিনি বর্তমানে ঐ আ'লীগ নেতাকে সাথে নিয়ে বান্দরবান জেলায় বরাদ্ধকৃত সরকারী কর্মসুচীর চাল কালো বাজারে বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।