আজ মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে সাংবাদিকরাও তার অংশীদার -ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জিয়াউল হক

এইচ এম সম্রাট,বান্দরবান : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৮ অগাস্ট ২০২২ ০৭:৩১:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা বাহিনীসহ সরকারী সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় সাধান করে সাংবাদিকরা তাদের মুল্যবান লিখনীর মাধ্যে পাহাড়ে উন্নয়নে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।   এজন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের সাংবাদিকরাও তার অংশীদার। পাহাড়ে নিরপেক্ষ ও বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে সন্ত্রাসী কর্তৃক সাংবাদিকরা হামলা ও মৃত্যুর ঝুকিঁতে পড়ছে। এর পরেও পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকরা সন্ত্রাসীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তাদের পেশাগত দায়ীত্ব পালন করে যাচ্ছে। সোমবার বেলা ১১টায় বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ অডিটরিয়ামে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনীময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জিয়াউল হক এসব কথা বলেন।

বান্দরবান সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত  মতবিনিময় সভায় অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,বিজিবির বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবুল হাসনাৎ মোঃ শাহরিয়ার ইকবাল,ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ লেঃ কর্নেল সিরাজুল ইসলাম উকিল, এএসইউ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মকিম উদ্দিন,

আলিকদম জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল সাব্বির হাসান, বান্দরবান সদর জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসান, রুমা জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল হাসান শাহরিয়ার ইকবাল সহ সেনা বাহিনীর উধ্বর্তন কর্মকর্তারা। মতবিনীময় সভায় বান্দরবান জেলার সাত উপজেলায় কর্মরত ৭০জন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনীময় সভায় বান্দরবান প্রেসক্লবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু ও সাধারন সম্পাদক মিনারুল হক সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্যে  নিজ নিজ উপজেলার পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন, আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি,মাদক চোরাচালান রোধ এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠি কর্তৃক চাঁদাবাজি ও খুন অপহরনসহ নানান সন্ত্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধে সেনা বাহিনীর সহযোগীতা কামনা করেন।

এসময় রিজিয়ন কমান্ডার আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উত্তরণের চাবিকাঠি। অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে পার্বত্য অঞ্চলে দাতা সংস্থার কার্যক্রম, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে কার্যক্রম পরিচালনা করাসহ সকল দুর্গম এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত তথ্যাদির সংবাদ তুলে ধরার মাধ্যমে সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে অনেক। তাই তথ্য নির্ভর সংবাদের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকায় উন্নয়নের স্রোতধারা সারাবিশ্বকে জানানোর জন্য গণমাধ্যম প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার মত নয়। পাহাড়ে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই অঞ্চলে রয়েছে ১২টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। সাংবাদিকরা হলো সেই সকল ব্যক্তি, যারা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অত্র অঞ্চলের সার্বিক উত্তরণের চাবিকাঠি। 

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে প্রত্যেক প্রেসক্লাবে একটি ল্যাবটপ ও সাংবাদিকদের সম্মাননা স্বারক তুলে দেন রিজিয়ন কমান্ডার।