মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আরকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মাঝে এখনো চলমান রয়েছে সংঘর্ষ,ঐ সংঘর্ষের জেরে নাইক্ষ্যংছড়ি মিয়ানমার সীমান্তের আনুমানিক ৫৫ কিলোমিটারের মানুষের মাঝে আতঙ্ক এখনও রয়ে গেছে। মাঝে মাঝে মিয়ানমার থেকে আসা বিকট শব্দের বিভিন্ন প্রকার গোলাবারুদ বিস্ফোরণের আওয়াজে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম থেকে জামছড়ি ৪৫,৪৬,সীমানা পিলার পযর্ন্ত ঝাকুনি দিয়ে কাপিয়ে তুলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামগঞ্জ। আবার তা থেমে যায় কয়েক দিনের জন্য, আবার শুরু হয় ফোটাফুটির তুমুল শব্দ। কখনো গতিময় উচ্চ শব্দ, আবার কখনো শুনসান পরিবেশ, এভাবেই চলছে নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম মানুষের জীবন। বেশ কিছুদিন পযর্ন্ত চলা মিয়ানমার বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরকান আর্মি এবং সে দেশের সেনাবাহিনীর মাঝে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে ঘুমধুম থেকে,জামছড়ি পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জামছড়ি ৪৫,৪৬ সীমান্তের কাছাকাছি থাকা উক্ত এলাকার কৃষক মোঃ রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,তাদের সীমান্ত এলাকা গত ৮দিন পযর্ন্ত শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে,তবে তিনি আরো জানান তাদের সীমান্তে বরাবর মিয়ানমারের কিছুটা অভ্যন্তরে বেশ কিছুদিন আরকান আর্মির অবস্থান ছিলনা, তারা মিয়ানমারের প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ভিতরে চলে গিয়েছিল,গত কয়েক দিন ধরে পুনরায় আবারো সীমান্তের কাছাকাছি ফিরে আসছে। ঘুমধুমের তিন নং মেম্বার মোঃ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়,মোমবার ভোর থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পযর্ন্ত তার এলাকাতে মিয়ানমারের ভিতর থেকে কোন প্রকার ফোটা ফুটির আওয়াজ আসেনি,তবে মানুষের মনে আতঙ্ক বিদ্যমান রয়েছে। তমব্রুর বাজারের তরুণ ব্যাবসায়ী সরোয়ার জানান তাদের সীমান্ত এরিয়ায ঠাণ্ডা অবস্থা বিরাজ করাতে তার এলাকার মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তিবোধ কাজ করছে।