নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি এম এ কালাম সরকারী কলেজের ছুরি মারার ঘটনায় মামলা আরো ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সামবার সকাল সাড়ে ১১ টায় তাদের গ্রেপ্তার করেন তারা। এর আগে ঘটনার দিন শনিবার ১০ টায় আটক করা হয়েছিল ১ জনকে। এ নিয়ে আটকের সংখ্যা দাড়ালো -৩ জনে । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা।
তিনি জানান, কলেজে সে দিন শনিবারের ঘটনায় ৯ জনকে আসামী করে ১ টি মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। বাকীরা অজ্ঞাত।
তিনি আরো জানান,আটককৃত আসামী হলো - রাকিবুল ইসলাম (২১) রহিমুল্লাহ (২১) ও মো ইসা (২০)। প্রথম ২ জনের বাড়িপার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে। আপর জনেন বাড়ি রামুর গর্জনিয়ায়। তারা ৩ জনই এ কলেজের ছাত্র।
আর এ মামলাটি করেন ঘটনায় ছুরিকাহত আক্তার হোসেনের ভাই রামু উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ইমাম হোসেন ইমরান।
মামলার বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন,তার ভাই মেধাবী ছাত্র। পাশাপাশি
আসামীরা উচছৃংখল ও সন্ত্রাসী। তারা নিয়মিত ইভটিজিং করে ছাত্রীদের সাথে।
এছাড়া ছুরি সহ অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কলেজে আসে-যায় । ঘটনার দিনও তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে তার ভাই ও তার এলাকার অপর আহত সাগরকে ছুরিকাগত করে। তারা দু'জনই এখন হাসপাতালে। তাদের মধ্যে সাগরের অবস্থা আশংকাজনক।
এদিকে কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবী, তারা চায় তাদের প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিমূক্ত পরিবেশে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব শিক্ষার্থী আরো বলেন,তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধানের সামনে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে সে দিন। কিন্তু কলেজ প্রধান সেদিনও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেন নি। এর আগেও এধরনের অনেক ঘটনা ঘটলেও তিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বার বার। তা থেকে বুঝা যায় তার অবস্থা নড়বড়ে। তারা এসব অবস্থার উত্তরণ চায়। এভাবে একই বক্তব্য দেন অনেক অভিভাবকও।
তারা বলেন এ ঘটনার কলেজের অবস্থা
থমথমে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক কম। তারা আগে নিরাপত্তা চায়। তার কলেজে আসা।
উল্লেখ্য,গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায়
নাইক্ষংছড়ি হাজি এম এ কালাম সরকারী কলেজ ক্যম্পাসে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে ২ ছাত্র গুরুতর আহত আহত হয়েছিলো। তারা হলো-শহিদুল কামাল (১৭) সে কাউয়ারখোপের নুর মোহাম্মদের ছেলে।
অপরজন আক্তার হোসেন (১৭)। সে একই এলাকার আবল শাহমার ছেলে। এদের একজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনার জের ধরে আহত ছাত্রের সমর্থকরা নাইক্ষ্যংছড়ি- রামু অবরোধ অবরোধ করে রাখে ৬ ঘন্টা। ককসবাজার সদর আসনের এমপি ও জেলা পুলিশ সুপারের আশ্বাস ও হস্তক্ষেপে তারা অবরোধ তুলে নেন। এরই সূত্র ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা হয় রোববার রাতে।