কৃষকের স্বপ্নের ক্ষেতে লাউয়ের কাঙ্খিত ফলন হলো না মহিউদ্দিন সহ ৭ কৃষকের লাউের চারা গাছে। চারাগাছ ছোট থেকে অনেক বড়ও হয়েছিল। ফুল-ফল ধরে কিছু লাউ বড়ও হয়েছিল। কিন্তু গাছগুলো দূর্বৃত্তরা কেটে দিয়েছে। বর্গাচাষা জমিতে চাষ করে প্রায় সাড়ে তিন কানি( দেড় একর)জমির চার হাজার লাউ গাছে ফুল ও ফল সঠিকভাবে আসার আগেই কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।আর মাত্র কয়েকদিন পরেই বাজারে উঠাতো লাউ।প্রায় ১০লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি করছে ৭ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক। ক্ষতিগ্রস্থরা হল মহিউদ্দিন ৪০ শতক,শাহজাহান ২৪শতক,ইকবাল ২০শতক,শাহেদ ২০শতক, মুজাহিদ ২০ শতক বাদশা ১০শতক ,আবদুল হক পেপে বাগান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটহাজারী উপজেলার ১২নং চিকনদন্ডী ইউনিয়নের নেহারপুল বিলে ফসলের মাঠে শুক্রবার দিবাগত রাতে গাছগুলো কাটা হয়েছে।কিন্তু শুক্রবার বিকেলে সেখানে কাজ করেছে অনেক কৃষক। শনিবার সকাল ৮টায় গরু চরাতে গেলে কৃষক মহিউদ্দিন ক্ষেতে গিয়ে দেখেন মাচার গাছগুলো রোদ্রের তাপে নুয়ে পড়েছে। প্রথমে ভেবেছিলেন রোদের কারণে এমনটা হয়েছে। কিন্তু পরে দেখতে পান সব গাছের গোড়া থেকে কেটে দিয়েছে । মহিউদ্দিন এই জমিতে প্রায় ২০ বছর ধরে মৌসুমভিত্তিক নানান ধরণের ফসল বছরজুড়েই আবাদ করেন। তার বেশিরভাগই সবজি। এ বছর পূরো ৪০ শতাংশ জমিতেই লাউয়ের চাষ করেন। তবে কারো বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করেনি তারা।
ওই ৭ কৃষক শীতের শুরুতেই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে হাইব্রিড লাউয়ের বীজ সংগ্রহ করেছিলেন। পরে জমিতে বীজ বপন করে অল্পদিনেই গাছ বড় হয়। ফল আসার উপযোগী হয়ে ফল ধরে কিছু লাউ বড়ও হয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে তাতে মাচা দিয়েছেন।
কৃষকরা বলেন, গত দেড় থেকে দুই মাস ক্ষেতটিতে রাত-দিন কাজ করেছি। প্রতিটি গাছেই আমাদের হাতের ছোঁয়া রয়েছে। গাছের সঙ্গে যারা শত্রুতা করে তারা কেমন মানুষ? আশা ছিল এ বছর ক্ষেত থেকে ১০ লাখ টাকার মতো লাউ বিক্রি করব আমরা কিন্তু আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। কীভাবে আমার দেনা পরিশোধ করব?
হাটহাজারী উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মীরা বৈষ্ণব জানান, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর আমি কৃষি অফিসারের সাথে কথা বলেছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জমি পরিদর্শন করেছি।কৃষকদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।