আনোয়ারার বিএনপির দু’গ্রুপের মারামারিতে ১৫জন নারী পুরুষ আহতের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিএনপির খলিলুর রহমান নামে এক কর্মীর বসতঘরের হামলা ও লুটপাতের অভিযোগও তুলেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বরুমছড়া ইউনিয়নের জায়ত্তেশর মেম্বারের বাড়িতে এঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনা বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে এখনো কোন পক্ষ মামলা বা অভিযোগ করেনি।
একপক্ষের খলিলুর রহমান জানান, হামলাকারীরা বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, নগদ ৪ লাখ টাকাসহ ২ ভরি স্বর্ণংকার লুট করে নিয়ে যায়। আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের ভাই বিএনপি নেতা মনজুর উদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে এ্ি হামলা হয়েছে। এসময় আমার বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। হামলায় আমার স্ত্রী নুর বেগম (৩৫), ছেলে মো. মোজাম্মেল হক (২৪)সহ মিনু আকতার (৩০), সেলি আকতার (৩৫), হোসনে আরা বেগম (৪৫), আনঞ্জুমান আরা বেগম (৬০), নবী হোসেনের মেয়ে হিরা আকতার (১৬), গুরা মিয়া (৩০), জসিম উদ্দিন (৩৫) গুরুতর আহত হয়।
অপরপক্ষের আহমদ নুর জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে তারা হামলা করেছে, এতে আমাদের দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. নেজাম, উপজেলা তরুণ দলের যুগ্ন আহ্বায়ক মো. বাবুল, যুবলীগের মো. বেলাল, মো. ইমন,আহমদ নুর, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. মামুনসহ ৬ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়।
আনোয়ারা থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বরুমছড়া এলাকায় বিএনপির দু’গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ বা মামলা করেনি। অভিযোগ বা মামলা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’