শশুর, শাশুড়ি ও ননদদের অমানুষিক নির্যাতনে মাহাবুবা খাতুন মিষ্টি(২৮) নামক এক নববধু নিহত হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে রেলওয়ে থানা পুলিশ ৪জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন নিহতের ১)শশুর রজব আলী, ২)শাশুড়ি ছামসুন্নাহার, ৩)ননদ রিনা ও ৪) রেহেনা। পরে নিহতের পিতা মোবারক হোসেন তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদেরকে মামলার আসামী হিসেবে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে রাখেন। হত্যাকান্ডটি ঘটে পার্বতীপুর শহরের হলদীবাড়ি রেলওয়ে কলোনীর রজব আলীর বাড়িতে। নিহতের পিতা মোবারক হোসেন ও মামা মনোয়ার উদ্দিন জানায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে কলোনীবাসীর কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যায়। তাদের উপস্থিতিতে রেলওয়ে থানা পুলিশ মাহাবুবা খাতুন মিষ্টির লাশ উদ্ধার করে। সে সময় মিষ্টির শয়নকক্ষের দরজা খোলা পাওয়া যায় এবং তার নিথর দেহ ঘরের ভেতরে উপর হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে আসার পূর্বে ঘটনাস্থলে লোকজনের সামনে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার সময় তার মুখ মন্ডলে বিভিন্ন ধরনের আঘাতের চিহ্ন ও গলায় রশি বা কাপড় জাতীয় কিছু দিয়ে টানা হেচড়ার দাগ পরিলক্ষিত হয়। বিষয়টি পুলিশ রিপোর্ট আকারে লিপিবদ্ধও করেন। প্রত্যক্ষদর্শী কলোনীবাসী জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে মিষ্টির দুই ননদ ওশশুর, শাশুড়ি মিলে তাকে বেধম মারপিট করে। মারপিটের ঘটনায় মিষ্টির চিৎকারে প্রতিবেশিরা জানতে পারে বিষয়টি। সকালে প্রতিবেশিরা মিষ্টির বাসায় গিয়ে তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। তারা জানায়. হত্যাকারীরা মিষ্টিকে নির্যাতনের কারনে রাতেই তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। পরে বিষয়টি আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে ঘরের ছাদের বর্গার সাথে ঝুলিয়ে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইন্চার্জ নুরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকান্ড হিসেবে মনে করা হলেও পোষ্ট মোর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আইনত এটাকে নিশ্চিত করে হত্যাকান্ড বলা যায় না। তবে বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি এ ঘটনায় হত্যা মামলা রুজু করেছি।