আজ শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১

সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের আনন্দ শোভাযাত্রা

বেলাল আহমদ,লামা(বান্দরবান) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৫ জুন ২০২২ ০৩:১৬:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

২৫ জুন দেশের আত্মমর্যাদা ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন লামা সেন্টারে আনন্দ আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্‌যাপন হয়েছে। সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেতু উদ্বোধনের সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর সামনে প্রদর্শিত হয়। তারপর কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কোয়ান্টাম লামা সেন্টারের সকল কর্মীরা মিলে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

 

 শোভাযাত্রাটিকে আরো বর্ণাঢ্য করতে স্কুলের সুদক্ষ ব্যান্ড দলের ছিল বিশেষ পরিবেশনা। স্কুল ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি নিকটস্থ কেয়াজুপাড়া বাজার এলাকা পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেয় দুই সহস্রাধিক ছাত্র-শিক্ষক-কর্মী ও এলাকাবাসী।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির হাই স্কুল ক্যাম্পাসের প্রধান শিক্ষক শরিফুল আলমের কাছে এই আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণান্ত প্রয়াসে পদ্মা সেতু আজ আমাদের সামনে ‘আমরা পারি’ এই সত্যের বাস্তবতা। আমাদের দেশ পদ্মা সেতুর মতো মহা-চ্যালেঞ্জের কাজ সম্পন্ন করেছে নিজের অর্থায়নে। দেশের প্রধান যদি পারে তাহলে শিক্ষার্থীদেরও নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে দেশকে আরো উন্নত করার স্বপ্ন দেখতে হবে। আমরা শিক্ষকেরা নিয়মিত এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে থাকি।’

বান্দরবান লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজে সেতু উদ্বোধন বিষয়ে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে মাত্র সাত জন ম্রো জাতিগোষ্ঠীর শিশু নিয়ে যাত্রা শুরু করে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ। ২০ বছরের পরিক্রমায় জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এখন এখানে আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে এই স্কুলের রয়েছে শিক্ষা ও ক্রীড়ায় দেশসেরা সাফল্য। ঢাকায় জাতীয় শিশু-কিশোর কুচকাওয়াজে তারা প্রথম হয়েছে ২০১৫ থেকে টানা পাঁচ বছর। বুয়েট, মেডিকেল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে তারা।