রোয়াংছড়ি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে জাতীয় শোক দিবস ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩১ আগষ্ট) সাড়ে ১১ টায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে রোয়াংছড়ি উসারা লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চহাইমং মারমা। উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি চহ্লামং মারমা সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হ্লাথোয়াইহ্রী মারমা, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও বান্দরবান পাবর্ত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু মারমা, অজিত কুমার দাশ, কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, মন্ত্রী প্রতিনিধি নাইতং বুইতিং।
বক্তরা বলেন, বিএনপি'র সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে আবারো শেখ হাসিনা তথা জাতীয় উন্নয়নের সরকার গঠনে আমরা ঐক্যবদ্ধ। পাবর্ত্য জনপদ-বান্দরবানে ব্যাপক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নিবার্চনে বীর বাহাদুরকে আবারো বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার ঘোষনা দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিকলীগ, মহিলা লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কর্মী সমর্থকরা রোয়াংছড়ি বাজারে খন্ড খন্ড বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে জড়ো হন। বেলা পোনে ১১ টায় কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থক সম্মিলিত বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময়ে দীর্ঘ সারির মিছিলে "শেখ হাসিনার সরকার, উন্নয়নের সরকার, মুজিব কন্যার সরকার বারবার দরকার, ৭১'র দালালেরা হুশিয়ার সাবধান, জামায়াত, বিএনপি দেশ ছাড়" ইত্যাদি স্লোগানের শব্দে রোয়াংছড়ি রাজপথ জেগে উঠে। জাতীয় শোখ দিবস ও চারদলীয় বিএনপি জোট সরকারামলে ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা, তার আগে ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট শহীদ সরোয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্য বর্বোরচিত গ্রেনেড হামলায় প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন রোয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আথুইমং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ক্রইচিংপ্রু মারমা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ধীরেন্ট ত্রিপুরা, ইউপি চেয়ারম্যান মেহ্লাঅং মারমা, ইউপি চেয়ারম্যান চনুমং মারমাসহ কয়েক হাজার নেতা কর্মীরা ছিলেন।