"২০৩০ সালের মধ্যে মাসিক বা ঋতুস্রাব কে জীবনের একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিনত করা" এর এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বান্দরবানে রোয়াংছড়িতে সারাদেশের মতো যথাযথভাবে বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়েছে।
শনিবার (২৮ মে) দুপুর ১১ টায় রোয়াংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে গ্রাউস বেসরকারি সংস্থার এর আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রকল্পের আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প সমন্বয়কারী উমাচিং মারমা উমা, মনিটরিং অফিসার ও ফোকাল পারসন উমংসি মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ক্রইচিংপ্রু মারমা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.মংহ্লাপ্রু মারমাসহ প্রমূখ।
এছাড়াও স্থানীয় সাংবাদিক, লীন প্রকল্পের বিপল্প নকরেক, উমে মারমাসহ প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট্য কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা অনুষ্ঠানে শেষে মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে রচনা প্রতিযোগীতা বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে ডা. মংহ্লাপ্রু নারীদের ঋতুস্রাব বিষয়ে শেয়ার করে তিনি বলেন, নারীদের মাসিক কিংবা ঋতুস্রাব বিষয়ে সাম্যক ধারণা না থাকায় ও সমাজের নানান কুসংস্কারের কারণে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। এ রোগের পরিত্রাণে সকলে একযোগে কাজ করতে হবে।
এসময় বক্তারা বলেন, মাসিক কোনো রোগ নয়। প্রতিটি নারীর জীবন চক্রের এটি একটি অংশ। তাই প্রতিটা মেয়ে যাহাতে মাসিক কিংবা ঋতুস্রাবের বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাভাবিক ও সচেতনতার বৃদ্ধির পরিবারের মা, দিদিসহ সকলে অবদান ভূমিকা রাখার খুবই জরুরি দরকার।
প্রকল্প সমন্বয়কারী উমাচিং মারমা উমা বলেন, ঋতুস্রাবের সময়ে খুব বেশি রক্তক্ষয় হলে ক্লান্তিবোধ থাকবে, বিশ্রাম নিতে হবে। জোর করে কাজ করা যাবে না। মাসিক খুব বেশি রক্তপাত ঘটলে কোষগুলো যথেষ্ট অক্সিজেন না পেলে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই নারীদের মাসিক চক্রের অতিরিক্ত রক্তক্ষয়ী হলে স্বাস্থ্য কেন্দ্র কিংবা অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহব্বান জানান ।