রাঙামাটি শহর এখন উৎসবের নগরী। কঠিন চীবর দান, জগদ্ধাত্রী পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিতে চারদিক লোকে লোকারণ্য। খালি নেই কোন হোটেল মোটেল, যানবাহনের বাড়তি চাপ, রেঁস্তুরা-দোকানগুলোতে বিরামহীন ব্যস্ততা। বেড়েছে বেচা বিক্রি। সবমিলিয়ে রাঙামাটি শহরে এখন বিরাজ করছে উৎসব উৎসব ভাব। গত বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাঙামাটির রাজবন বিহারে বেইন ঘর ও সুতা কাটার মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী ৪৯তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব উদ্বোধন করেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশিষ রায় এবং চাকমা রাণী ইয়েন ইয়েন। দুই দিনব্যাপী ৪৯তম কঠিন চীবর দানোৎসবে দেশ বিদেশের লাখো পুণ্যার্থী অংশ নিচ্ছেন। অন্যদিকে গত বুধবার (২ নভেম্বর) রাঙামাটির হ্যাপীর মোড়ে জগদ্ধাত্রী মন্দিরে তিন দিনব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জগদ্ধাত্রী পূজা এবং ষোড়শপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ শুরু হয়েছে। চীবর দান ও পূজাকে কেন্দ্র করে রাজবন বিহার ও মন্দির প্রাঙ্গণে বসেছে মেলা । মেলায় ঠাঁই পেয়েছে হরেক রকমের পণ্য সামগ্রী, বস্ত্র, খাদ্য সামগ্রী এবং বস্ত্রের দোকান। এই দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরো শহর জুড়ে উৎসবের আমেজ বইছে। বৌদ্ধরা কঠিন চীবর দানে ও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজা অর্চনায় ব্যস্ত সময় পার করলেও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা মেলায় গিয়ে নিজেদের প্রযোজনীয় কেনা-কাটা সারছেন এবং আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠছেন। এদিকে, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় রাঙামটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা বাড়তি আকর্ষন যোগ করেছে। প্রত্যেক বছর এই সময়ে একই সাথে রাঙামাটিতে বৌদ্ধ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দানোৎসব ও জগদ্ধাত্রী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।