বান্দরবান থানা পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে আবাসিক হোটেলে ধর্ষের শিকার নারীসহ ২জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় এক ধর্ষকসহ অপহরনের সাথে অভিযুক্ত ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সদর থানা সুত্রে জানা যায়,বান্দরবান সদরের বালাঘাটা এলাকার মো: জাবেদ(২৯) নামে এক যুবকের সাথে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া নাপিত পুকুরিয়া এলাকার দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীর পরিচয় হয়। গতকাল শুক্রবার আসামী ওই ছাত্রীকে সেলাই প্রশিক্ষনে ভর্তি করি দেয়ার কথা বলে বান্দরবানে নিয়ে এসে হোটেল ফোর ষ্টারের একটি কক্ষে জোর পুর্বক ধর্ষন করে। খবর পেয়ে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মো: জাবেদকে আটক করে। এঘটনায় ধর্ষনে শিকার ছাত্রীর মা নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে। অপর দিকে প্রেম ঘটিত ঘটনায় পালিয়ে যাওয়ার বিশ দিন পর নোয়াখালি থেকে প্রেমিক জুটিকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে বান্দরবান সদর থানা পুলিশের এসআই নাজমুলের নেতৃত্বে একটি দল নোয়াখালিতে অভিযান চালিয়ে প্রেমিক মো: মনির হোসেন(২২) সহ প্রেমিক যুগলকে আটক করে। জানা যায়,
দীর্ঘ দিন ধরে বান্দরবান ষ্টেডিয়াম এলাকার বাসিন্দা শিমুল চৌধুরীর ষোল বছরের কন্যা অর্পনা চৌধুরী জয়ার সাথে চট্টগ্রামের আনোয়ারার বাসিন্দা মো: মনির হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। গত ১লা ডিসেম্বর প্রেমিক যুগল অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। এঘটনায় প্রেমিকার পিতা শিমুল চৌধুরী বাদী হয়ে প্রেমিক মো: মনির হোসেনের বিরুদ্ধে বান্দরবান সদর থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করে। স্থানীয়রা জানিয়েছে মো: মনির হোসেন দির্ঘ দিন ধরে ষ্টেডিয়াম এলাকায় এসকেবেটর চালক হিসাবে কাজ করতো। সেখানেই হিন্দু ধর্মালম্বী শিমুল চৌধুরীর কন্যা অর্পনা চৌধুরী জয়া সাথে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১লা ডিসেম্বর প্রেমিক যুগল পালিয়ে গিয়ে প্রেমিকা অর্পনা চৌধুরী জয়া স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে এবং প্রেমিক মো: মো: মনির হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বান্দরবান সদর থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাসুদ পারভেজ ঘটনার সত্যত্বা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় পুলিশ পৃথক দুটি দল সাড়াশিঁ অভিযান চালিয়ে এই দুই মামলার আসামী আটক ও ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধার করা হয়।