এই উৎসবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পুণ্য লাভের আশায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মাঝে চাল, ভাতের পিণ্ড, নগদ অর্থসহ নানা সামগ্রী উৎসর্গ করে থাকেন। আজ ৮ই নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে বান্দরবানের বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এই পিণ্ডদান উৎসবে অংশ নেয়। পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ভিক্ষুদের দান উৎসর্গ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম , পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির সহধর্মিনী মেহ্লাপ্রু, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক'সহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষেরা। পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু, লক্ষীপদ দাশ, প্যানেল মেয়র সৌরভ দাশ শেখর, প্রমুখ। আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনি পূর্ণিমা এই ৩ মাস বর্ষাবাস শেষে বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে কঠিন চীবর দান উৎসব পালনের পর বর্ষাবাস পালন করা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সম্মানে দায়ক দায়িকারা এই মহা পিণ্ডদান উৎসবের আয়োজন করে থাকেন। আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই উৎসবের আয়োজন হয়ে থাকলেও এখন বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে এই উৎসবের প্রচলন রয়েছে। সকালে বান্দরবান শহরের জাদী পাড়া, উজানী পাড়া মধ্যমপাড়া, রাজবাড়ি, রাজামাঠ এলাকায় ঘুরে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা দায়ক-দায়িকাদের কাছ থেকে পিণ্ড গ্রহণ করেন। পুণ্যলাভের আশায় ধর্মাবলম্বীরা ভিক্ষুদের পিণ্ড দানের পাশাপাশি নানা প্রকার মিষ্টান্নও দান করেন। এছাড়া বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সামনে থাকা বৌদ্ধ মূর্তীকে পূজাও দেয়া হয়। মহা পিণ্ডদানকে ঘিরে বান্দরবান শহরের উজানী পাড়া মধ্যমপাড়া এলাকায় উৎসবের আমেজ ছিল। নানা রঙ্গে সাজানো হয় বৌদ্ধ মন্দিরগুলো। এছাড়া রাস্তার দু’ধারে নানা রঙের প্যাণ্ডেল টানানো হয়। আষাঢ়ি পূর্ণীমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে বর্ষাবাস পালন করা হয়। এরপর কঠিন চীবর দান উৎসব ও সর্বশেষে মহা পিণ্ডদান উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। পিণ্ডদান উদসব দেখতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পর্যটক ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমায় বান্দরবান শহরে। যুগ যুগ ধরে বান্দরবানে এ উৎসব চলে আসছে।