বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামে সাবেকুন্নাহার সাকু (৫২) নামে এক নারী বিষপানের পর মারা গেছেন।
বুধবার (২ অক্টোবর) রাত ১১ টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে বুধবার রাতে ওই নারী বিষপান করেন।
জানাগেছে,বিষপানে আত্মহত্যা করা সাবেকুন্নাহার সাকু (৫২) ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামের জনৈক মোহাম্মদ ইসলামের স্ত্রী। নিহত সাবেকুন্নাহার ও ইসলামের পরিবারে মুন্নী আক্তার নামের (২৫) বছরের একটি কন্যা রয়েছে। কন্যা মুন্নী জন্মের পর থেকে স্বামী ইসলামের সহিত আর যোগাযোগ ছিল না সাবেকুন্নাহার সাকুর।
এক কন্যা'কে নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশী সময় কাটিয়ে দেন সাকু। একমাত্র কন্যা মুন্নীর সাথে বিয়ে হয়, আপন ভাইপো মৃত কবির আহমদের ছেলে রফিকের। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মুন্নী এবং রফিকের সংসারে অশান্তি চলে আসছিল। এ নিয়ে বহু শালিশ-দরবার হয়েছে।
কন্যা মুন্নীকে নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিলেন মা সাবেকুন্নাহার।গত ২ অক্টোবর জামাতা রফিকের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ান। এতে রাগে ক্ষোভে ক্ষেতের জন্য আনা কীটনাশক পান করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সাবেকুন্নাহার।
তড়িঘড়ি করে জামাতা রফিকসহ উপস্থিত লোকজন লাশ দাফন কার্য সম্পাদনের চেষ্টা করেও বিষপানের ঘটনা চাউর হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর সকালে ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার জানান,তাদের ফুফু দীর্ঘদিন অসুস্থ্যতায় ভোগছিল,অসহ্য যন্ত্রণায় বেগুন ক্ষেতের জন্য আনা কীটনাশক পান করলে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ তার বাড়ী থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাসরুরুল হক জানান,ঘুমধুমের এক নারী বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজারে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
লাশের ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে ।